ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা। এমনটিই দাবি করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্টরা। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত নিলয় হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন মাসুদ রানা, সাদ আল নাহিয়ান, কামাল হোসেন সরদার ও কাওসার হোসেন খান। এই চারজনের মধ্যে নিলয় হত্যাকান্ডে জড়িত সাদ আল নাহিয়ানকে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাক্ষী দেখেছেন। নিলয়কে খুন করার পর নাহিয়ান রামদা ব্যাগে ভরে বাসার নিচে নেমে সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সাক্ষীদের নাম বলতে রাজি হননি যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাকি তিনজনের ব্যাপারে ফরেনসিক পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিলয়ের ডিএনএ টেস্টের সঙ্গে আসামিদেরও ডিএনএ টেস্ট করা হবে। এরপর তা মিলিয়ে দেখা হবে। এমনকি নাহিয়ানেরও ডিএনএ টেস্ট করানো হবে। এ ছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ নিলয় হত্যায় যে পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছিল, তাদের মধ্যে বাকি আরেকজনের খোঁজ করা হচ্ছে। তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৭ আগস্ট জুমার নামাজের সময় রাজধানীর খিলগাঁও থানার পূর্ব গোড়ান এলাকার ১৬৭ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। হত্যার দায় স্বীকার করে আনসার আল ইসলাম নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজও পাঠানো হয় গণমাধ্যমগুলোতে।
এর কয়েক দিন পরই মিরপুরের কালশী থেকে মাসুদ রানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদ আল নাহিয়ানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ২৭ আগস্ট রাজধানী থেকে কাওসার ও কামাল হোসেন নামে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। আর মাসুদ রানা বাদে বাকি তিনজনই আরেক ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যাচেষ্টা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। ওই তিনজন জামিনে ছিলেন।