হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বেলাল হোসেন নামে একজন স্কুলশিক্ষক মাল্টা চাষ করে সাড়া জাগিয়েছেন। তার সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক বেকার যুবক মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন শিক্ষকতার পাশাপাশি সৌখিনতা হিসেবে মাল্টা চাষ শুরু করেন।
শিক্ষক জানান, ২০১৫ সালে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত ২৫ শতক জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টার ৭৩টি চারা রোপণ করেন। এক বছরের মাথায় একটি গাছে ফল আসে। ওই ফল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুগন্ধযুক্ত হওয়ায় তিনি পরের বছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আরও দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান করেন।
তিনি আরো জানান, প্রথমবার রোপণকৃত ৭৩টি গাছের মধ্যে এ বছর ১৫ থেকে ২০টি গাছে আশানুরূপ ফল ধরেছে। কোনোটি গাছে ৭০টি, কোনোটিতে ৮০টি এবং কোনোটিতে ১২০টি পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে।
বেলাল হোসেন বলেন, প্রাপ্ত ফলের মধ্যে ২০০ ফল তিনি পাঁচ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি করেন। অবশিষ্ট ফল নিজস্ব লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিতরণ করেন। যারা ফল খেয়েছেন তারা সবাই জানিয়েছেন তার বাগানে উৎপাদিত মাল্টা খেতে বেশ সুস্বাদু ও সুগন্ধিযুক্ত।
বেলাল হোসেনের মাল্টা বাগানের সফলতা দেখে প্রতিদিন কৃষি বিভাগের লোকজনসহ অনেকে তার বাগান পরিদর্শনে আসছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নইমুল হুদা সরকার জানান, হরিপুর স্থাপিত বেশ কয়েকটি মাল্টা বাগানে এ বছর হতে ফল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এসব মাল্টার সাইজ প্রতিটি ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম এবং খেতেও খুব সুস্বাদু। তাই বেলাল সাহেবের মাল্টার বাগান দেখে অনেকে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মাল্টার বাজার মূল্য ঠিক থাকলে এখানে মাল্টা জাতের ফল বাগান দিন দিন বাড়বে।