হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র আর দীর্ঘ বাণিজ্যিক অসমতা সহ্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ (১০ নভেম্বর) ভিয়েতনামে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশনের (আপেক) সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তিনি সবসময় যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রাধান্য দেবেন এবং আপেকের দেশগুলোকেও সেটি মেনে নিতে হবে।’
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘বিশ্বায়ন এখন অপরিবর্তনীয়। তাই এখন সময় হচ্ছে জোটবদ্ধতার।’
ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে সামনে নিয়ে এসেছেন। এরই প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে আঞ্চলিক ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেয় ওয়াশিংটন।
আজ ভিয়েতনামের বন্দর নগরী ডা নাংয়ে ওই বক্তব্যে ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মাবলী যদি এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো না মানে তাহলে সংস্থাটি ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না।’
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ঘাটতি উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাজার ব্যবস্থা সহজ করেছে কিন্তু অন্য দেশগুলো উল্টো পথে হাঁটছে।’ মুক্ত বাণিজ্যের কারণে লাখ লাখ আমেরিকান চাকরি হারিয়েছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এই ব্যবস্থার কারণে উল্টো মার্কিনিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তবে এজন্য তিনি আপেক দেশগুলোকে দোষারোপ করেননি। উল্টো এই জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন সাবেক ওবামা প্রশাসনকে।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘তিনি যেকোনো ইন্দো-প্যাসিফিক দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করবেন যারা পারস্পারিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রের স্বচ্ছতার বিষয়টিকে সম্মান করে।’
এই অঞ্চলটিকে ট্রাম্প তার ভাষণে বারবার ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন এশিয়ার এই অঞ্চল নিয়ে আমেরিকার এটি নতুন ভূরাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আপেকের ২১টি দেশের জিডিপি বিশ্বের মোট জিডিপি ৬০ ভাগ।