এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতাদের বারণ করেছেন জাসদের সমালোচনা করতে।
তিনি এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপিসহ দলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে কয়েক দফায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জাসদের সমালোচনা না করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সব আলোচনায় দলের বর্তমান এবং গত কমিটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের কয়েকজন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের সব কিছুকেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ক্ষমাও করেছেন। তবে তিনি কিছুই ভোলেননি। মন্ত্রিসভার সর্বশেষ বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি তার সহকর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্য জাসদকে সরাসরি অভিযুক্ত করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।
এরপর একই অভিযোগ করেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। তারই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন নানাভাবে এ প্রসঙ্গে উভয় পক্ষে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য চলছে।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী জাসদের সমালোচনা করতে বারণ করেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য জাসদকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বক্তব্যের পর এ নিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে কথা বলেছেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া। তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, জাসদকে জড়িয়ে কয়েকজন নেতার বক্তব্য আওয়ামী লীগের বক্তব্য নয়। এতে ১৪ দলীয় ঐক্যে কোনো ক্ষতি হবে না। জাসদ সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে চান বলে জানা গেছে।