আগাম লাউ চাষে লাভবান চাষিরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সবজি উৎপাদনের অন্যতম জেলা মুন্সীগঞ্জ। আলু এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হলেও অন্যান্য সবজিও এখানে উৎপন্ন হয়ে থাকে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী, রামপাল, মহাকালি ইউনিয়ন সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে লাউ চাষ করে স্বাবলম্বি হয়েছেন অনেক কৃষক। লাউ গাছের চারা রোপনের ২ মাস পরই গাছে লাউ ধরে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে।

আগাম এ লাউ চাষে লাভবান হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক। এখানে প্রতি শতাংশ জমিতে লাউ চাষের খরচ হয়ে ১ হাজার টাকা হারে। প্রতিটি লাউয়ে চারা রোপনের একমাস অতিবাহিত হলেই জমির লাউ বিক্রি শুরু করেন তারা। লাউ চাষের প্রতি ১৫ শতাংশ জমি থেকে ৭০-৮০টি লাউ প্রতিদিন কেটে বিক্রি করে থাকেন কৃষকরা। যার প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০টাকায়। এখন প্রতিদিন একএকজন কৃষক আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, এ বছর ৮০০ হেক্টর জমিতে আগাম লাউ চাষের আবাদ হয়েছে। গত বছর ৭৩৮ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হয়েছিলো। এবার শীত মৌসুমে ৮০০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।আগে লাউ শীতকালে হতো। মুন্সীগঞ্জে এখন সারা বছর হচ্ছে। দিনদিন মুন্সীগঞ্জ জেলায় লাউ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাউ চাষে সরকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে না। কিন্তু কারিগরি সহযোগিতা করে থাকে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর