হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগাম শীতের সবজি উঠতে শুরু করেছে বগুড়ার হাট বাজারগুলোতে। বাজার দর ভালো থাকায় আগাম সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন এলাকার কৃষকরা। তবে চড়া দামের কারণে স্বল্প আয়ের ক্রেতার কাছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে এ সবজি। আর পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে দামের পার্থক্যটা অনেক বেশি।
কপি, মূলা, সিম থেকে শুরু করে শীতের আগাম সবজিতে ভরে গেছে বগুড়ার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান ও সুলতানগঞ্জহাট। দুবারের বন্যায় কৃষকের হতাশার ছাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে এ আগাম জাতের শীতের সবজি। ভালো মূল্য পাওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। আরও কিছুদিন এমন মূল্যের প্রত্যাশা তাদের।
কৃষকরা বলেন, এবার সবজি চাষ করে আমাদের খুব ভালো লাভ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আমরা এরকম বাজারই চাই।
শীতের সবজি কেনার ইচ্ছে নিয়ে বাজারে গেলেও অনেক ক্রেতাই অধিক দামে কিনতে পারছেন না সবজি। পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের পার্থক্য কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। তাদের দাবি বাজার মনিটরিং জোরদার করার।
খুচরা বাজারের ক্রেতারা বলেন, সঠিকভাবে বাজারের মনিটরিং না হওয়ায় পণ্যের মূল্য অনেক বেশি নেয়া হচ্ছে। সবজির দাম আমাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। বাজারে এসে কোনো সবজি কিনতে পারছি না।
তবে অধিক দামে আগাম শীতের সবজি কিনে খুব একটা লাভ থাকছে না বলে দাবি করে এক পাইকার বলেন, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য টাকা দিয়ে আমাদের খুব একটা লাভ থাকছে না। ৫০ পয়সা থেকে এক টাকা লাভে আমাদের সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলার বড় সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থান, সুলতানগঞ্জ ও রাজাবাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০, বাঁধা কপি ৪০, মুলা ৩৫, বেগুন ৪০ টাকায়। আর সিম এবং কাঁচামরিচ ১০০ টাকায়। এবার জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।