ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কামরাঙা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৪৭ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ টক-মিষ্টি স্বাদের কামরাঙা কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য গুণও। এটি শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এর ট্যানিন নামে উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে পরিপাক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কামরাঙা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুই ধরনের কামরাঙা পাওয়া যায়। এদের একটি টক স্বাদযুক্ত এবং আরেকটি মিষ্টি। আজ থেকে শত শত বছর আগে থেকেই এশিয়া মহাদেশ, বিশেষ করে শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। বলা যায়, এ দুটি দেশেই কামরাঙার উদ্ভব।
কামরাঙা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফলটি। এতে উচ্চমানের ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কামরাঙার অ্যান্টি-অক্সিডেডন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।
এ ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং সি। পেয়ারা, বাতাবিলেবু, কাগজিলেবু, আমড়া ও আমলকি ছাড়া অন্যসব ফলের চেয়ে কামরাঙায় ভিটামিন-সি অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, লৌহের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, পাকা কলা, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির চেয়েও বেশি। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও কৃমি থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। ত্বক মসৃণ করা যায় কামরাঙা ফলের মাধ্যমে। পাঁচড়া, ঘা শুকাতেও সাহায্য করে। হৃদরোগ, দাঁত ও ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী কামরাঙা।
তথ্য : ইন্টারনেট
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কামরাঙা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

আপডেট টাইম : ০৬:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ টক-মিষ্টি স্বাদের কামরাঙা কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে নানা স্বাস্থ্য গুণও। এটি শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় সহায়তা করে। এর ট্যানিন নামে উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে পরিপাক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কামরাঙা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুই ধরনের কামরাঙা পাওয়া যায়। এদের একটি টক স্বাদযুক্ত এবং আরেকটি মিষ্টি। আজ থেকে শত শত বছর আগে থেকেই এশিয়া মহাদেশ, বিশেষ করে শ্রীলংকা ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফলটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। বলা যায়, এ দুটি দেশেই কামরাঙার উদ্ভব।
কামরাঙা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফলটি। এতে উচ্চমানের ভিটামিন এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কামরাঙার অ্যান্টি-অক্সিডেডন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।
এ ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং সি। পেয়ারা, বাতাবিলেবু, কাগজিলেবু, আমড়া ও আমলকি ছাড়া অন্যসব ফলের চেয়ে কামরাঙায় ভিটামিন-সি অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, লৌহের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, পাকা কলা, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির চেয়েও বেশি। পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ও ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত ও কৃমি থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। ত্বক মসৃণ করা যায় কামরাঙা ফলের মাধ্যমে। পাঁচড়া, ঘা শুকাতেও সাহায্য করে। হৃদরোগ, দাঁত ও ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী কামরাঙা।
তথ্য : ইন্টারনেট