ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে মিয়ানমার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর অবরোধ আরোপ করা হলে দেশটির বেসামরিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির নেতা অং সান সু চির মুখপাত্র জ হতাই।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা দরকার। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সাথে জড়িত মানুষদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরো অনেক খারাপ পরিণতি আছে।’ শুক্রবার সু চির মুখপাত্র জ তাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন।

ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফরের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার পর প্রত্যাহার করা মার্কিন অবরোধ নতুন করে আরোপের প্রস্তাব করেছেন। ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জন্য দায়ী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাকর্মকর্তাদের উপর সুনির্দিষ্ট অবেরাধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সু চির মুখপাত্র জ তাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরও অনেক খারাপ পরিণতি রয়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমার সফর করবেন। ওই সময় তার কাছে রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘তিনি যখন এখানে আসবেন তখন আমরা কী করছি তার ব্যাখ্যা তাকে দেয়া হবে। এটা করবেন না সেটা আমরা তাকে বলতে পারি না। আর আমরা জানি না মার্কিন নীতি কী।

গত বছর বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির শাসন ব্যবস্থায় এখনো সেনাবাহিনীর প্রভাব ব্যাপক।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জ তাইয়ের দাবি বেসামরিক সরকারের এখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনেক কাজ করার রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার একা দেশের পুর্নগঠন করতে পারবে না। সেনাবাহিনীকে সংশ্লিষ্ট এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হবে সে বিষয়টি পরিষ্কার। ২০০৮ সালের সংবিধানের আওতায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার আওতায় সব কিছু পরিচালিত করতে হবে।

সু চির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অবরোধ ও চাপ সরকারের কাজে প্রভাব ফেলবে। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, তারা যদি অবরোধ আরোপ করে তাহলে এটি কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।’

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে দেশটির সরকারকে কড়া জবাব দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। মিয়ানমারের ওপর মার্কিন অবরোধ আরোপের যে প্রস্তাব তাতে সমর্থন জুগিয়েছেন তাদের মধ্যে সিনেটে আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান জন ম্যাকেইন ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য সিনেটর বেন কার্ডিন অন্যতম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে মিয়ানমার

আপডেট টাইম : ০৩:৫২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর অবরোধ আরোপ করা হলে দেশটির বেসামরিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির নেতা অং সান সু চির মুখপাত্র জ হতাই।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা দরকার। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সাথে জড়িত মানুষদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরো অনেক খারাপ পরিণতি আছে।’ শুক্রবার সু চির মুখপাত্র জ তাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন।

ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফরের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার পর প্রত্যাহার করা মার্কিন অবরোধ নতুন করে আরোপের প্রস্তাব করেছেন। ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জন্য দায়ী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাকর্মকর্তাদের উপর সুনির্দিষ্ট অবেরাধ ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

সু চির মুখপাত্র জ তাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ভ্রমণ ও ব্যবসা বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এছাড়া আরও অনেক খারাপ পরিণতি রয়েছে।’

তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমার সফর করবেন। ওই সময় তার কাছে রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের প্রচেষ্টার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘তিনি যখন এখানে আসবেন তখন আমরা কী করছি তার ব্যাখ্যা তাকে দেয়া হবে। এটা করবেন না সেটা আমরা তাকে বলতে পারি না। আর আমরা জানি না মার্কিন নীতি কী।

গত বছর বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির শাসন ব্যবস্থায় এখনো সেনাবাহিনীর প্রভাব ব্যাপক।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জ তাইয়ের দাবি বেসামরিক সরকারের এখনো সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনেক কাজ করার রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার একা দেশের পুর্নগঠন করতে পারবে না। সেনাবাহিনীকে সংশ্লিষ্ট এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে হবে সে বিষয়টি পরিষ্কার। ২০০৮ সালের সংবিধানের আওতায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার আওতায় সব কিছু পরিচালিত করতে হবে।

সু চির এই মুখপাত্র বলেন, ‘অবরোধ ও চাপ সরকারের কাজে প্রভাব ফেলবে। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, তারা যদি অবরোধ আরোপ করে তাহলে এটি কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।’

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে দেশটির সরকারকে কড়া জবাব দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। মিয়ানমারের ওপর মার্কিন অবরোধ আরোপের যে প্রস্তাব তাতে সমর্থন জুগিয়েছেন তাদের মধ্যে সিনেটে আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান জন ম্যাকেইন ও বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য সিনেটর বেন কার্ডিন অন্যতম।