হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাতে শীত, ভোরে কুয়াশা, দুপুরে ঘাম ঝরানো গরম গত এক সপ্তাহ জুড়ে রাজধানীর আবহাওয়ার চিত্র অনেকটা এমনই। দিনের বিভিন্ন সময়ে ‘অস্বস্তিকর’ এমন আবহাওয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এই সময়ে অসুস্থতাকে এড়াতে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে বলে পরামর্শ চিকিৎসকদের।
আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্র মতে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কিছুটা শীত পড়তে শুরু করলেও রাজধানীতে দিনের বিভিন্ন সময়ে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছালেও রাতের বেলায় তা ২০ থেকে ২২ এ নামছে। এছাড়া সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা পড়তেও শুরু করেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কিছুটা বেশি থাকলেও ভোঁর নাগাদ তা আরও কমে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও শনিবার দুপুরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি।
আবহাওয়ার এমন ওঠানামার কারণে অনেকেই জ্বর, সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। যাদের কোল্ড অ্যালার্জি, অ্যাজমা রোগ রয়েছে তাদের এই সময়ে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. ফরহাদ রেজা।
তিনি বলেন, সকালের দিকে কিছুটা কুয়াশা পড়লেও দুপুর বেলার গরমে অনেকেই ঘেমে যাচ্ছেন। আবার সন্ধ্যার পর তা কমতে শুরু করে রাতের বেলায় শীতও পড়ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়টাতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেই এই সময়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।
সুস্থ থাকতে করণীয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডা. ফরহাদ বলেন, কোল্ড অ্যালার্জি এবং অ্যাজমা আক্রান্তদের এই পরিবর্তিত আবহাওয়াকে মানিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিতে হবে। খুব ভোরে বের হলে শরীরে যেন শীত না লাগে সে সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, একইভাবে সতর্ক থাকতে হবে রাতের বেলার কম তাপমাত্রা নিয়ে। এই দুই রোগে আক্রান্ত না হলেই যে শীতকে পাত্তা দেওয়া যাবে না; এমনটা কিন্তু নয়। সাধারণকেও সচেতন থাকতে হবে এই পরিবর্তিত আবহাওয়াকে মানিয়ে নিতে।
আর এই সময়ে কেউ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।