ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোখ ভালো রাখার খাবার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পালংশাক পালংশাকে রয়েছে জিয়ানথিন ও লুটেইন। লুটেইন চোখে পিগমেন্ট তৈরি করে, যা ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়।

এই উপাদান বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। প্রতিদিন মাত্র ১০০ গ্রাম পালংশাক সালাদ অথবা তরকারি হিসেবে খেলেই চলবে।

গাজর গাজর চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রায় সব কমলা রঙের সবজি ও ফলে থাকে বিটাক্যারোটিন। এটি চোখের ভেতর দিয়ে আলোর প্রবাহকে শোষণ করে ও রাতে কম আলোয়ও দেখার শক্তি বাড়ায়।

কমলা ভিটামিন ‘সি’ পরিপূর্ণ কমলার রয়েছে বহু গুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর প্রতিদিন একটি করে কমলা খেলে অন্ধত্বের হার অন্যদের তুলনায় ৬৪ শতাংশ হ্রাস পায়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে কমলা খাবারের তালিকায় রাখুন।

মাছ ইলিশ, রুই ইত্যাদি মাছ ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ, যা চোখের রেটিনার চারপাশে থাকা খুবই জরুরি।

আমেরিকান ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, ফ্যাটি এসিড প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাংস অদ্ভুত শোনালেও গরু বা এ ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসের জিংক দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ! জিংক ভিটামিন ‘এ’ লিভার থেকে নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া জিংকের অভাবে অন্ধত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বাদাম বিভিন্ন বাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’সহ নানা ধরনের ভিটামিন। এটি চোখের ক্রমাগত দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়াকে রোধ করে। বেশি নয়, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে কাজু বাদাম খেলেও চলবে। এ ছাড়া অন্যান্য বাদামও যথেষ্ট উপকারী।

ডিম ডিমকে সুপারফুড বলা হয়। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে আছে লিউটেইন ও জিংক, যা রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চোখ ভালো রাখার খাবার

আপডেট টাইম : ১১:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পালংশাক পালংশাকে রয়েছে জিয়ানথিন ও লুটেইন। লুটেইন চোখে পিগমেন্ট তৈরি করে, যা ক্ষতিকর নীল রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচায়।

এই উপাদান বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাবে। প্রতিদিন মাত্র ১০০ গ্রাম পালংশাক সালাদ অথবা তরকারি হিসেবে খেলেই চলবে।

গাজর গাজর চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রায় সব কমলা রঙের সবজি ও ফলে থাকে বিটাক্যারোটিন। এটি চোখের ভেতর দিয়ে আলোর প্রবাহকে শোষণ করে ও রাতে কম আলোয়ও দেখার শক্তি বাড়ায়।

কমলা ভিটামিন ‘সি’ পরিপূর্ণ কমলার রয়েছে বহু গুণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর প্রতিদিন একটি করে কমলা খেলে অন্ধত্বের হার অন্যদের তুলনায় ৬৪ শতাংশ হ্রাস পায়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি করে কমলা খাবারের তালিকায় রাখুন।

মাছ ইলিশ, রুই ইত্যাদি মাছ ফ্যাটি এসিডে পরিপূর্ণ, যা চোখের রেটিনার চারপাশে থাকা খুবই জরুরি।

আমেরিকান ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, ফ্যাটি এসিড প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মাংস অদ্ভুত শোনালেও গরু বা এ ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসের জিংক দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ! জিংক ভিটামিন ‘এ’ লিভার থেকে নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। তা ছাড়া জিংকের অভাবে অন্ধত্বের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

বাদাম বিভিন্ন বাদামে রয়েছে ভিটামিন ‘ই’সহ নানা ধরনের ভিটামিন। এটি চোখের ক্রমাগত দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়াকে রোধ করে। বেশি নয়, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে কাজু বাদাম খেলেও চলবে। এ ছাড়া অন্যান্য বাদামও যথেষ্ট উপকারী।

ডিম ডিমকে সুপারফুড বলা হয়। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ডিমও বেশ কার্যকর। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে আছে লিউটেইন ও জিংক, যা রেটিনায় কোনো ধরনের ক্ষয় প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।