কিছুদিন আগেই দুই দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কথামতো আর্থিক নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে আমেরিকা। ফলে ইরানের অর্থনীতি আগের থেকে বর্তমানে অনেক সচল অবস্থায় পৌঁছেছে। তবে এর মধ্যেই ইরান তেল দিতে অস্বীকার করল আমেরিকাকে। ইরানের পেট্রোকেমিক্যাল কমার্শিয়াল কোম্পানির কার্যনির্বাহী পরিচালক মেহদি শরিফ নিকনাফ্স বলেছেন, ‘তেল রফতানির ক্ষেত্রে আমেরিকার বাজারকে কখনোই বিবেচনা করেনি তেহরান। তবে আগামীদিনেও একই পথে হাঁটব আমরা।’
মেহদি শরিফ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত পরিবহন ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তেল বিক্রি লাভজনক নয়। এ ছাড়া, ইরানের তেল বিক্রির জন্য বিকল্প বহু বাজার রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। সুতরাং তার কাছে আমাদের তেল রপ্তানির প্রয়োজন পড়বে না।
ইরানের এই তেল কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমেরিকায় তেল রফতানির কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকেও সে ধরনের কোনও অনুরোধ আমরা পাইনি। তবে বর্তমানে আমরা আমেরিকার তেলের বাজার খতিয়ে দেখতে শুরু করেছি।’
ইরান সাধারণত এশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে তেল রফতানি করে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন নতুন করে অনেক রাস্তা খুলে গিয়েছে ইরানের সামনে। ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ইরান তার মোট উৎপাদনের ৩০ শতাংশ তেল ইউরোপে রফতানি করতো।