হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্পেনের আদালত ক্ষমতাসীন সরকারের সেই ১৯ সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। এর একদিন পর ৯ সদস্য আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত একজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে বাকিদের রিমান্ডে পাঠান। এর আগে ফেডারেল সরকারের আইনজীবীরা ক্ষমতাচ্যূত সেই ৯ মন্ত্রীকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান। এদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, উসকানি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানা যায়।
স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কাতালোনিয়া সরকারের বরখাস্ত হওয়া আট মন্ত্রীকে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন মাদ্রিদের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) এক শুনানিতে বিচারক তাদের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
এদিকে, আট মন্ত্রীকে গ্রেফতারের খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কাতালোনিয়ান জনগণ। মন্ত্রীদের মুক্তির দাবিতে কাতালোনিয়ার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
শুনানিকালে পুজেমনসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে পুজেমনসহ তার প্রশাসনের ১৯ সদস্যের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত।
শুনানিতে হাজির না হওয়ায় পুজেমনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিরও আবেদন জানানো হয়। তবে আদালত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। অন্যদিকে, স্পেন সরকারের উপর আস্থা নেই মর্মে পুজেমনের আইনজীবী বলেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেই পুজেমনসহ অন্যরা দেশে ফিরবেন।
পুলিশি হেফাজতে পাঠানো নেতারা হলেন, সাবেক ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট ওরিয়ল জাঙ্কুয়ার্স, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম ফোর্ন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রা এল রোমিভা, সাবেক বিচারমন্ত্রী কার্লোস মুন্ড, সাবেক শ্রমমন্ত্রী ডলাস বাস্সা, সাবেক সরকারি প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলর জর্ডি তুরুল, সাবেক উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী জোসেপ রুল ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী মেরিটেক্সেল বোরাস।
এদিকে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী শান্তি ভিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য,স্বাধীনতার প্রশ্নে গত ১ অক্টোবর কাতালোনিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে মত দিলেও তা অবৈধ ঘোষণা করে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত। এরপর থেকেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সূত্র: বিবিসি।