হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোরে উত্তরের বেশ কিছু জনপদ ঢাকা পড়ছে ঘন কুয়াশায়। মানুষের গায়ে উঠছে মোটা কাপড়। রাজধানীতেও কয়েক দিনের মেঘলা আকাশ আর সামান্য বৃষ্টি বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে নিয়ে এসেছিল হিম হিম ভাব। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, ঢাকায় শীত আসতে এখনো ঢের দেরি।
বাংলা বর্ষপুঞ্জির পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল হলেও আগের ঋতু হেমন্তের শেষ মাস অগ্রহায়ণেই শীত অনুভূত হয়। এখন চলছে অগ্রহায়ণের আগের মাস কার্তিকের মাঝামাঝি। এরই মধ্যে কুয়াশায় ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন জনপদে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মানুষের কাঁপুনির খবর এসেছে।
গরমের দুঃসহ যন্ত্রণা বা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা না থাকায় শীতকাল বরাবরই নগরবাসীর কাছে কাঙ্ক্ষিত সময়। এবার অগ্রহায়ণের আগেই শীত আসে কি না, সেই কথাই চলছিল।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকলেও আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আবার বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ হাওর বার্তাকে বলেন, ‘গ্রামেগঞ্জে শীতের অস্তিত্ব কিছুটা অনুভূত হলেও রাজধানীতে শীত আসতে এখনো সময় লাগবে। এখন যে শীত অনুভূত হচ্ছে তা প্রকৃতির একটি ধোঁকা। শীত এখনই নয়, দুই একদিনের মধ্যেই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।’
রাজধানীবাসী নভেম্বরের শেষের দিকে শীত অনুভব করতে পারবেন বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। জানান, উত্তরাঞ্চলে কিছুটা আগেই শীত অনুভূত হবে।
বজলুল রশিদ বলেন, গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমেছে, এ কারণে একটু শীত শীত লাগছে। বাতাসের গতিও উত্তর দিকের হওয়ায় তাপমাত্রা একটু কমেছে। আজকালের মধ্যেই বাতাসের গতি পরিবর্তন হবে, তখন তাপমাত্রা আবার বেড়ে যাবে।
বজলুর রশিদ বলেন, নভেম্বরের ৩-৪ তারিখের দিকে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেটা কোনদিকে যাবে তখন বলা যাবে। এটা ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা যাচ্ছে। ওদিকে গেলে বাংলাদেশের ওপর এর তেমন কোনো প্রভাব আসবে না। তবে ভারতের ওডিশা বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে এলে আমাদের দিকে প্রভাব আসবে।
কবে আসবে শীত-জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘শীত আসতে এখনো অনেক দেরি। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শীতের আমেজ এলেও যান্ত্রিক নগরীতে শীত একটু দেরিতেই আসবে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন তামপামাত্রা প্রায় প্রতিদিনই ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাচ্ছে। রাজধানীর বাড়তি জনসংখ্যা, যানবাহনের চাপ ও কার্বণ নিঃসরণের মাত্রা বেশি হওয়ায় শীত একটু দেরিতেই পড়বে।