হাওর বার্তা ডেস্কঃ * ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির সাফল্য কীভাবে দেখছেন?
** এ ছবিতে যারা অভিনয় করছেন সবাই নিজেদের পুরোটা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আর নির্মাতাও আমাদের মাঝে থেকে ভিন্ন কিছু বের করার চেষ্টা করেছেন। সবশেষে ঢাকা অ্যাটাক টিম সফল। দর্শকদের ভালো একটা ছবি উপহার দিতে পেরেছি। এ ধরনের ছবি আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বেশি হওয়া দরকার।
* ডিসেম্বরে আপনার ‘ভালো থেকো’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এ ছবি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
** আমার অভিনীত প্রতিটি ছবি নিয়েই মুক্তির আগে প্রত্যাশা থাকে। এটি জাকির হোসেন রাজু স্যারের ছবি। অনেক বড় মাপের নির্মাতা তিনি। তার ছবি নিয়ে তো প্রত্যাশা থাকবেই। ছবিটির গল্পও দারুণ। এখন দর্শকরাই ভরসা। আশা করি তাদের ভালো লাগবে।
* আপনার সঙ্গে কোনো নায়িকার জুটি গড়ে ওঠেনি। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
** আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নায়ক যেমন কম। তেমনি নায়িকাদের সংখ্যাও কম। সিনেমায় আমার বিপরীতে কে অভিনয় করছেন এটা জানার আগে আমি দেখি এতে গল্প আছে কিনা। দর্শকরা দেখবে এমন কিছু আছে কিনা। আমাকে ভেঙে নতুন কিছু দেখাতে পারব এমন কিছু আছে কিনা। পরে সহ-অভিনেতাদের দেখি। মাহি, মিম, মম, নুসরাত ফারিয়া, জলি, নতুন নায়িকা তানহা- সবার সঙ্গেই তো অভিনয় করছি। এটা ছবির গল্পের ডিমান্ডেই করা। এতে আমার কোনো ইচ্ছা অনিচ্ছা নেই।
* ছবিতে একজন নায়কের উচ্চতা ও বডি বিল্ডার হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
** সিনেমার নায়ককে অন্য আট দশটা ছেলের চেয়ে একটু আলাদা হতে হবে। কারণ তাকে মানুষ টাকা দিয়ে হলে দেখতে আসে। ছবির গল্পের অনুপাতে একজন নায়ককে সাজাতে হয়। এখন আমাকে সব ছবিতে বডি বিল্ডার রূপে দেখতে চাওয়াটা কিন্তু বোকামি। আমার ‘কিস্তিমাত’ ও ‘মুসাফির’ ছবিতে বডি দেখিয়েছি। কিন্তু ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ তো একটি প্রেমের ছবি। এ ছবিতে কিন্তু আবার বডি দেখালে চলবে না। ছবির গল্পের অনুপাতেই আমাদের চরিত্র প্লে করতে হয়।
* আমাদের দেশের ছবিতে চরিত্রানুয়ী একজন নায়ককে ফিট হতে কতটা সময় দেয়া হয়?
** একেবারেই দেয়া হয় না। এরপরও পরিচালক ও প্রযোজককে বলে আমি কিছুটা সময় নিই। এ জন্য অনেকে আমাকে পাগলও বলেন। কিন্তু কিছু করার নেই। চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে হলে তাকে সময় নিয়েই লালন করতে হবে।