হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্প্যানিশ লা লিগার চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে ক্লাব বার্সেলোনা। দলটির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে আট পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে মেসি-সুয়ারেজরা। কাতালান ক্লাবটি শুধু শীর্ষে রয়েছে তা-ই নয়; দলের দুই খেলোয়াড় লিওনেল মেসি এবং মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনও পিচিচি ও জামোরা অ্যাওয়ার্ডের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
স্প্যানিশ লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাকে দেয়া হয় পিচিচি অ্যাওয়ার্ড। অন্যদিকে জামোরা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় সবচেয়ে কম গোল হজমকারী গোলররক্ষককে।
লা লিগার ১০ রাউন্ড শেষে মেসি করেছেন সর্বোচ্চ ১২ গোল। বার্সেলোনা এই ১০ ম্যাচে করে সর্বমোট ২৮ গোল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার চেয়ে দলকে চার পয়েন্ট এগিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছেন স্টেগেনেরও। ১০ ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছেন এই জার্মান গোলরক্ষক।
গত মৌসুমেও লা লিগায় পিচিচি ও জামোরার দৌড়ে একসঙ্গে এগিয়ে ছিলেন মেসি ও স্টেগেন। ৩৩ রাউন্ড শেষে সবচেয়ে কম গোল হজম করেন স্টেগেন। অন্যদিকে মেসি তো সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবেই মৌসুম শেষ করেন। মৌসুমের শেষ দুই সপ্তাহে অবশ্য দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। বার্সেলোনা যেমন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শিরোপা খুইয়ে ফেলে ঠিক তেমনি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের গোলরক্ষক জ্যাঁ অবলাকের কাছে জামোরা অ্যাওয়ার্ড হাতছাড়া করেন স্টেগেন।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় গোলসংখ্যার দিক থেকে দুই নম্বরে রয়েছেন সিমোনে জাজা। ভ্যালেন্সিয়া ফরোয়ার্ড করেছেন ৯ গোল। ভিয়ারিয়েল তারকা সেদ্রিক বাকাম্বু ৮ গোল নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথম চার ম্যাচ খেলতে না পারা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছয় ম্যাচ খেলে মাত্র একটি গোল করতে পেরেছেন।
অন্যদিকে লা লিগায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম গোল হজম করা দলের নাম লেগানেস। দলটি ৫ গোল হজম করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ৯টি, ভ্যালেন্সিয়া ১১টি, সেভিয়া ৯টি এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ হজম করেছে ৬টি গোল।