ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারে অন্তত আট লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

গতকাল শনিবার আইওএমের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানায়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর আগের সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারে আসে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা সদস্য। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই গাদাগাদি করে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে বসবাস করছে মাত্র ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য।’

আইওএমের কুতুপালংয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে গড়ে ওঠা শিবিরে সর্বাত্মকভাবে আবাসনের প্রয়োজন মেটানোর সমীক্ষা ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে নারী-পুরুষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকের পর এখন থেকে এখানে নিয়মিতভাবে কমিউনিটি মিটিং হবে।

আইওএম ও বেসরকারি সংস্থা আরইএসিএই সেখানকার লোকদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে কাজ করে যাচ্ছে। এটি মানবিক সহায়তাকারীদের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে আইওএম ও অংশীদাররা দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

আইওএম ৮০ হাজার গৃহনির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। এগুলো দিয়ে প্রায় তিন লাখ ৯৫ হাজার পরিবার তাঁদের আশ্রয় নির্মাণ করেছে। এতে করে শরণার্থীরা প্রবল বৃষ্টিপাত ও কঠোর রোদ থেকে নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি ঘুমানোর জায়গা পেয়েছে।

আইওএম তার অংশীদার ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও কাজ করচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৮ লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজারে অন্তত আট লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

গতকাল শনিবার আইওএমের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানায়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এর আগের সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারে আসে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা সদস্য। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই গাদাগাদি করে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থান করছে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে বসবাস করছে মাত্র ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য।’

আইওএমের কুতুপালংয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে গড়ে ওঠা শিবিরে সর্বাত্মকভাবে আবাসনের প্রয়োজন মেটানোর সমীক্ষা ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে নারী-পুরুষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকের পর এখন থেকে এখানে নিয়মিতভাবে কমিউনিটি মিটিং হবে।

আইওএম ও বেসরকারি সংস্থা আরইএসিএই সেখানকার লোকদের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে কাজ করে যাচ্ছে। এটি মানবিক সহায়তাকারীদের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আশ্রয় শিবিরগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে আইওএম ও অংশীদাররা দুই মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

আইওএম ৮০ হাজার গৃহনির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। এগুলো দিয়ে প্রায় তিন লাখ ৯৫ হাজার পরিবার তাঁদের আশ্রয় নির্মাণ করেছে। এতে করে শরণার্থীরা প্রবল বৃষ্টিপাত ও কঠোর রোদ থেকে নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি ঘুমানোর জায়গা পেয়েছে।

আইওএম তার অংশীদার ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও কাজ করচ্ছে।