ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে এক্সিলেন্স পুরস্কার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার স্বীকৃতি এবং কলকারখানার মালিকদের মধ্যে এ বিষয়ে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘কমপ্লায়েন্স এক্সিলেন্স পুরস্কার’ দেবে সরকার।

আগামী বছরের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপনের দিন প্রথমবারের মতো একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সভাপতিত্ব করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন করছে। বাংলাদেশ কলকারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির সাতটিই বাংলাদেশে। এ অর্জন আমাদের গর্বের। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত ৪ বছরে বাংলাদেশের কলকারখানা, বিশেষ করে তৈরী পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কারখানাগুলোতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে উঠছে।

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার স্বীকৃতি হিসেবে এবং অন্যান্য মালিকদের কলকারখানায় শোভন কর্মপরিবেশের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল’ সর্বসম্মতভাবে কমপ্লায়েন্স এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী বছরের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপনের দিন প্রথমবারের মতো একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩২৩ ধারার ক্ষমতা বলে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল গঠন করে। পদাধিকারবলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এর চেয়ারম্যান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সদস্য সচিব। এ কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ২৯। সভায় কাউন্সিলের খসড়া কার্যবিধি উপস্থাপন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী সভায় প্রস্তাবিত কার্যবিধি চূড়ান্ত করা হবে।

কাউন্সিল সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূইয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিসের প্রাক্তন মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ বিজিএমই, বিকেএমইএর প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং কাউন্সিলের সদস্যরা অংশ নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে এক্সিলেন্স পুরস্কার

আপডেট টাইম : ০৫:২১:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার স্বীকৃতি এবং কলকারখানার মালিকদের মধ্যে এ বিষয়ে উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘কমপ্লায়েন্স এক্সিলেন্স পুরস্কার’ দেবে সরকার।

আগামী বছরের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপনের দিন প্রথমবারের মতো একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিলের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সভাপতিত্ব করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালন করছে। বাংলাদেশ কলকারখানার শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির সাতটিই বাংলাদেশে। এ অর্জন আমাদের গর্বের। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত ৪ বছরে বাংলাদেশের কলকারখানা, বিশেষ করে তৈরী পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কারখানাগুলোতে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন কমপ্লায়েন্স কারখানা গড়ে উঠছে।

শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার স্বীকৃতি হিসেবে এবং অন্যান্য মালিকদের কলকারখানায় শোভন কর্মপরিবেশের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিল্প স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল’ সর্বসম্মতভাবে কমপ্লায়েন্স এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী বছরের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপনের দিন প্রথমবারের মতো একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৩২৩ ধারার ক্ষমতা বলে ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেফটি কাউন্সিল গঠন করে। পদাধিকারবলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী এর চেয়ারম্যান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সদস্য সচিব। এ কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ২৯। সভায় কাউন্সিলের খসড়া কার্যবিধি উপস্থাপন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, আগামী ডিসেম্বরে পরবর্তী সভায় প্রস্তাবিত কার্যবিধি চূড়ান্ত করা হবে।

কাউন্সিল সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শামসুজ্জামান ভূইয়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিসের প্রাক্তন মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহসহ বিজিএমই, বিকেএমইএর প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা এবং কাউন্সিলের সদস্যরা অংশ নেন।