ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কনডমের মতো স্বল্পমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের অনীহার কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবিরগুলোতে ভ্যাসেকটমি, কিউবেকটমির মতো স্থায়ী পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে সরকার।

২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে দমন-পীড়ন শুরু হলে গত দুই মাসে প্রায় ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন প্রায় ৬০ হাজারের সন্তান-সম্ভাবা নারী। এরই মধ্যে অনেকে জন্মও নিয়েছে।

আরও পড়ুন>>

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার অভাবে রোহিঙ্গারা তেমন সচেতন নয়। প্রত্যেকের পরিবারেই গড়ে ৫ থেকে ১০ জন সন্তান-সন্ততি রয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিষয়েও তাদের সচেতনতা কম। তাদের ধারণা, বেশি সন্তান নিতে পারলে খাবার সংগ্রহ করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় উদ্বাস্তু হয়ে আসা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ নারীর কোলেই একজন করে শিশু। প্রতিটি ঘরেই ৫-৬ জন থেকে ১১ জন পর্যন্ত শিশু আছে। রোহিঙ্গা নারীরা কাউকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছে অনেক শিশু। প্রতিটি ঘরে নবজাতকের কান্না। ।

মিয়ানমারের মংডু জেলার ভুদাইসন থেকে আসা হালিমা বেগমের ৮ সন্তান। এরমধ্যে সবচেয়ে ছোট হারেসের বয়স ১০ মাস। ওমরের বয়স ২ বছর ও রফিকের বয়স ৩ বছর। বাকিদের বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

হালিমা হাওর বার্তাকে বলেন, তিনটা এখনও কোলের বাচ্চা। বাকিরা বাইরে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছে। ভিক্ষা করেও খেতে পারছে।

উখিয়ার কুতুপালং পুরান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমন এক নারীকে পাওয়া গেছে, যার ১৫ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজেনা বেগম নামে পঞ্চাশ বছর বয়সী ওই মা বলেন, এতো বেশি সন্তান-সন্ততি থাকলেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প ছাড়াও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে রোহিঙ্গা শিশুরা। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরকার রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবছে

আপডেট টাইম : ০২:১৩:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কনডমের মতো স্বল্পমেয়াদী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের অনীহার কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবিরগুলোতে ভ্যাসেকটমি, কিউবেকটমির মতো স্থায়ী পদ্ধতি চালু করার কথা ভাবছে সরকার।

২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে দমন-পীড়ন শুরু হলে গত দুই মাসে প্রায় ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন প্রায় ৬০ হাজারের সন্তান-সম্ভাবা নারী। এরই মধ্যে অনেকে জন্মও নিয়েছে।

আরও পড়ুন>>

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার অভাবে রোহিঙ্গারা তেমন সচেতন নয়। প্রত্যেকের পরিবারেই গড়ে ৫ থেকে ১০ জন সন্তান-সন্ততি রয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ বিষয়েও তাদের সচেতনতা কম। তাদের ধারণা, বেশি সন্তান নিতে পারলে খাবার সংগ্রহ করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।

সম্প্রতি উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় উদ্বাস্তু হয়ে আসা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ নারীর কোলেই একজন করে শিশু। প্রতিটি ঘরেই ৫-৬ জন থেকে ১১ জন পর্যন্ত শিশু আছে। রোহিঙ্গা নারীরা কাউকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন। জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছে অনেক শিশু। প্রতিটি ঘরে নবজাতকের কান্না। ।

মিয়ানমারের মংডু জেলার ভুদাইসন থেকে আসা হালিমা বেগমের ৮ সন্তান। এরমধ্যে সবচেয়ে ছোট হারেসের বয়স ১০ মাস। ওমরের বয়স ২ বছর ও রফিকের বয়স ৩ বছর। বাকিদের বয়স ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

হালিমা হাওর বার্তাকে বলেন, তিনটা এখনও কোলের বাচ্চা। বাকিরা বাইরে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করছে। ভিক্ষা করেও খেতে পারছে।

উখিয়ার কুতুপালং পুরান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এমন এক নারীকে পাওয়া গেছে, যার ১৫ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। রোজেনা বেগম নামে পঞ্চাশ বছর বয়সী ওই মা বলেন, এতো বেশি সন্তান-সন্ততি থাকলেও তাদের কোনো সমস্যা হয় না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প ছাড়াও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে রোহিঙ্গা শিশুরা। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স