হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মতই আমরাও মনে করি সমস্যাটির সমাধান মিয়ানমারেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকার ও সামরিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমার সশস্র বাহিনীর প্রধানের সাথে কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায় রোহিঙ্গারা মর্যাদার সাথে তাদের জন্মভূমি রাখাইন রাজ্যে বাস করুক।
আজ শনিবার রাজধানীতে যক্ষ্মা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণার আলোকে সংশোধিত চুক্তির মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতে পারে। কেননা ১৯৯২ সালের পর থেকে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে আলোচনা শুরুর জন্য যৌথ ঘোষণাটি একটি ভালো ভিত্তি। দুই প্রতিবেশী দেশ আলোচনা করে প্রত্যাবাসনের শর্তগুলো চূড়ান্ত করবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে আশাবাদ ব্যক্ত করে বার্নিকাট বলেন, চলতি মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের সফর বিনিময় হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শক টিন্ট সোয়ের ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জন্য চুক্তির একটি খসড়া হস্তান্তর করে। ১৯৯২ সালের যৌথ ঘোষণাকে ভিত্তি ধরে কিছু সংশোধনী এনে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়া চুক্তির ব্যাপারে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি।
সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত রোহিঙ্গা যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্রের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। কেননা ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত প্রায় অর্ধেক গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ কারণে তাদের অনেক কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে শুধুমাত্র প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার জন্য জাতিসঙ্ঘ সংস্থাগুলোর সম্পৃক্ততা চেয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে মিয়ানমারের।