ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের জিন সম্পাদনার দুই পদ্ধতি আবিষ্কার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের জিন সম্পাদনার নতুন দুটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। গত বুধবার বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছেন। নেচার সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন কৌশলে নিখুঁতভাবে জিন সম্পাদনার মাধ্যমে চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি মানুষের এমন বংশগত রোগের বেশির ভাগের সমাধান করা সম্ভব হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এ দুই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে জিনের ‘আণবিক সম্পাদনা’ প্রযুক্তি। একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড লিউ ও দ্য ব্রড ইনস্টিটিউট অব এমআইটি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জিনের ত্রুটির নিখুঁত সমাধান সম্ভব। এটি মূলত ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডে কাজ করে। একটি সম্পূর্ণ জিন সেটকে বলা হয় জিনোম। আর জিনোমে প্রায় ৬০০ কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তি’ থাকে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত কৌশল ব্যবহার করে এই কোটি কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তির’ ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় কৌশলটি কাজ করবে রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ-তে। এটি নিয়ে কাজ করেছেন ব্রড ইনস্টিটিউটের আণবিক জীববিজ্ঞানী ফেং ঝ্যাং। এই কৌশল ব্যবহার করে আরএনএ সম্পাদনা করা যাবে। নতুন কৌশল অনুযায়ী ডিএনএ পরিবর্তন না করেই আমিষ বা প্রোটিন তৈরির জন্য জিনগত নির্দেশনা বহন করতে পারবে আরএনএ।

জিন সম্পাদনার যুগান্তকারী পদ্ধতি হলো ক্রিসপার-ক্যাসনাইন। বর্তমানে জিন সম্পাদনায় এই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত এ পদ্ধতি থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন দুটি পদ্ধতি। ক্রিসপার-ক্যাসনাইন পদ্ধতিতে মানুষের জিনোমের অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা হয়।

তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন যে, এই নতুন দুই পদ্ধতি এখনো মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মানুষের জিন সম্পাদনার দুই পদ্ধতি আবিষ্কার

আপডেট টাইম : ০২:২১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের জিন সম্পাদনার নতুন দুটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। গত বুধবার বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছেন। নেচার সাময়িকীতে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

নতুন কৌশলে নিখুঁতভাবে জিন সম্পাদনার মাধ্যমে চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি মানুষের এমন বংশগত রোগের বেশির ভাগের সমাধান করা সম্ভব হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এ দুই পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে জিনের ‘আণবিক সম্পাদনা’ প্রযুক্তি। একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডেভিড লিউ ও দ্য ব্রড ইনস্টিটিউট অব এমআইটি। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে জিনের ত্রুটির নিখুঁত সমাধান সম্ভব। এটি মূলত ডিএনএ বা ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিডে কাজ করে। একটি সম্পূর্ণ জিন সেটকে বলা হয় জিনোম। আর জিনোমে প্রায় ৬০০ কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তি’ থাকে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত কৌশল ব্যবহার করে এই কোটি কোটি ডিএনএ ‘রাসায়নিক ভিত্তির’ ত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় কৌশলটি কাজ করবে রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ-তে। এটি নিয়ে কাজ করেছেন ব্রড ইনস্টিটিউটের আণবিক জীববিজ্ঞানী ফেং ঝ্যাং। এই কৌশল ব্যবহার করে আরএনএ সম্পাদনা করা যাবে। নতুন কৌশল অনুযায়ী ডিএনএ পরিবর্তন না করেই আমিষ বা প্রোটিন তৈরির জন্য জিনগত নির্দেশনা বহন করতে পারবে আরএনএ।

জিন সম্পাদনার যুগান্তকারী পদ্ধতি হলো ক্রিসপার-ক্যাসনাইন। বর্তমানে জিন সম্পাদনায় এই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত এ পদ্ধতি থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন দুটি পদ্ধতি। ক্রিসপার-ক্যাসনাইন পদ্ধতিতে মানুষের জিনোমের অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা হয়।

তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন যে, এই নতুন দুই পদ্ধতি এখনো মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি।