ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার মিয়ানমারের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ২০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের অবস্থানের উপর পুরোপুরি নির্ভর ও তাদের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না সরকার। শুধু দ্বিপাক্ষিক তৎপরতায় এ সমস্যার সমাধান হবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন না।

এই ইস্যুটি নিয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের তিন দফায় আনুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তবে এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের উপর যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে সেটাকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেখছে সরকার।

সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানান, মিয়ানমারে নির্যাতন ও গণহত্যার ঘটনায় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত যে অবস্থান নিয়েছে এবং যে সব কথা বলছে সেটা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্ভব হয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে মিয়ানমারের উপর এ চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তাতে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারকরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। মিয়ানমারের পরবর্তি গতিবিধি কি হবে সেটাও স্পষ্ট হতে পারছেন না সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আর এটা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখা এবং তা আরও জোরালো করার বিকল্প নেই বলে সরকারের এই নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে গত ২১ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ইস্যুতে এটাই ছিলো প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়। তখন মিয়ানমারের উপদেষ্টা জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনায় বসতে চান। আলোচনার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকার প্রধান) অং

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরকার মিয়ানমারের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না

আপডেট টাইম : ০১:৪৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের অবস্থানের উপর পুরোপুরি নির্ভর ও তাদের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না সরকার। শুধু দ্বিপাক্ষিক তৎপরতায় এ সমস্যার সমাধান হবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন না।

এই ইস্যুটি নিয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের তিন দফায় আনুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। তবে এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের উপর যে পরিমাণ আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে সেটাকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে দেখছে সরকার।

সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানান, মিয়ানমারে নির্যাতন ও গণহত্যার ঘটনায় সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার এখন পর্যন্ত যে অবস্থান নিয়েছে এবং যে সব কথা বলছে সেটা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্ভব হয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে মিয়ানমারের উপর এ চাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তাতে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারকরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। মিয়ানমারের পরবর্তি গতিবিধি কি হবে সেটাও স্পষ্ট হতে পারছেন না সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আর এটা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখা এবং তা আরও জোরালো করার বিকল্প নেই বলে সরকারের এই নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে গত ২১ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টুনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর বৈঠক হয়।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ ইস্যুতে এটাই ছিলো প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়। তখন মিয়ানমারের উপদেষ্টা জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আলোচনায় বসতে চান। আলোচনার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর (কার্যত সরকার প্রধান) অং