ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্বস্তি পুলিশে এসপি সুভাষকে নিয়ে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭। শুধু এফডিআরের হিসাব ধরলে এই পাঁচ বছরেই কোটিপতি এসপি সুভাষ। জ্ঞাতভাবে তার সঞ্চয় বছরে গড়ে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা পাঁচ বছরে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৬ লাখের বেশি।

এই সময়ে অ্যাডিশনাল এসপি থেকে হয়েছেন এসপি। বৈধভাবে বেতন-ভাতা পেয়ে যা কামিয়েছেন আর পারিবারিক যে সম্পত্তি রয়েছে তাতে কোটি টাকা জমানোও কঠিন। এই সময়ে কোনো শান্তিরক্ষী মিশনেও অংশ নেননি তিনি।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে এসপি সুভাষের দুর্নীতির যে তথ্য প্রাথমিকভাবে বেরিয়ে এসেছে তাতে অস্বস্তি খোদ পুলিশ বিভাগে। একই পদে কিংবা বিভাগের উচ্চপদস্থদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিব্রতকর সব প্রশ্নের। উটপাখির মতো বালিতে মাথা লুকাচ্ছেন তারা।

বিসিএস পুলিশের ১৭ থেকে ২৫ ব্যাচের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সুভাষের আর্থিক অপকর্ম নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষের কথা।

‘আমরা যারা সৎ আর সাদামাটা জীবনযাপন করি, পুলিশ সুপার পদে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করি তারা এখন বেশি বিব্রত। গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধু ছাড়াও চেনা গণ্ডির নানাজন সুভাষের প্রসঙ্গ তুলে আমাদের খোঁচা দিচ্ছেন। বলতে পারেন অসম্মানও করছেন। আমাদের সততা নিয়েও অনেকে ঠাট্টা-মশকরা করছে। হৃদয়ে যে কি পরিমাণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা না পারছি বলতে, আবার না পারছি সহ্য করতে। মনে হয় পেশাগত ভাবেই মরে যাচ্ছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাওর বার্তার কাছে এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন ঢাকা রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।

এদের কেউ বলেছেন, পেশাগত দিক দিয়ে মহল বিশেষের আস্থার হলেও সুভাষ ডুবে ডুবে জল খেয়েছেন। দুর্নীতির গভীর জলে নিমজ্জিত হয়েছেন তা প্রথমে অনেকেই বিশ্বাসই করতে পারেননি। জাঁদরেল এসপি হিসেবেও দুর্নীতির কালো বেড়াল খোঁজার মতো প্রশাসনিক সংস্কার ঘোষণা করা সুভাষের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসায় নিজেদের ক্ষোভ আর ঘৃণাটাও প্রকাশ করেছেন কেউ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অস্বস্তি পুলিশে এসপি সুভাষকে নিয়ে

আপডেট টাইম : ০১:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭। শুধু এফডিআরের হিসাব ধরলে এই পাঁচ বছরেই কোটিপতি এসপি সুভাষ। জ্ঞাতভাবে তার সঞ্চয় বছরে গড়ে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যা পাঁচ বছরে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৬ লাখের বেশি।

এই সময়ে অ্যাডিশনাল এসপি থেকে হয়েছেন এসপি। বৈধভাবে বেতন-ভাতা পেয়ে যা কামিয়েছেন আর পারিবারিক যে সম্পত্তি রয়েছে তাতে কোটি টাকা জমানোও কঠিন। এই সময়ে কোনো শান্তিরক্ষী মিশনেও অংশ নেননি তিনি।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে এসপি সুভাষের দুর্নীতির যে তথ্য প্রাথমিকভাবে বেরিয়ে এসেছে তাতে অস্বস্তি খোদ পুলিশ বিভাগে। একই পদে কিংবা বিভাগের উচ্চপদস্থদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিব্রতকর সব প্রশ্নের। উটপাখির মতো বালিতে মাথা লুকাচ্ছেন তারা।

বিসিএস পুলিশের ১৭ থেকে ২৫ ব্যাচের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় সুভাষের আর্থিক অপকর্ম নিয়ে ক্ষোভ, অসন্তোষের কথা।

‘আমরা যারা সৎ আর সাদামাটা জীবনযাপন করি, পুলিশ সুপার পদে জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করি তারা এখন বেশি বিব্রত। গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধু ছাড়াও চেনা গণ্ডির নানাজন সুভাষের প্রসঙ্গ তুলে আমাদের খোঁচা দিচ্ছেন। বলতে পারেন অসম্মানও করছেন। আমাদের সততা নিয়েও অনেকে ঠাট্টা-মশকরা করছে। হৃদয়ে যে কি পরিমাণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা না পারছি বলতে, আবার না পারছি সহ্য করতে। মনে হয় পেশাগত ভাবেই মরে যাচ্ছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাওর বার্তার কাছে এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন ঢাকা রেঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।

এদের কেউ বলেছেন, পেশাগত দিক দিয়ে মহল বিশেষের আস্থার হলেও সুভাষ ডুবে ডুবে জল খেয়েছেন। দুর্নীতির গভীর জলে নিমজ্জিত হয়েছেন তা প্রথমে অনেকেই বিশ্বাসই করতে পারেননি। জাঁদরেল এসপি হিসেবেও দুর্নীতির কালো বেড়াল খোঁজার মতো প্রশাসনিক সংস্কার ঘোষণা করা সুভাষের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসায় নিজেদের ক্ষোভ আর ঘৃণাটাও প্রকাশ করেছেন কেউ