হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী দিনে সৌদি আরব মডারেট ও উম্মুক্ত ইসলামিক দেশ হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার রিয়াদে ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক চলাকালীন এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আগের মতো পৃথিবীর সকল ধর্ম ও সকলের জন্য উ্ম্মুক্ত মডারেট ইসলামিক দেশে ফেরত যেতে চাই।
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একই সাক্ষাতকারে উগ্রপন্থীদের দমনের ব্যাপারে বলেন, আমরা আজই তাদের ধ্বংস করতে চাই। আমরা খুব শীঘ্রই চরমপন্থা বিলোপ করবো। ধর্মীয় কট্টরপন্থী সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা লাভের পর এটাই প্রিন্সের এরকম প্রত্যক্ষ মন্তব্য।
জর্ডান ও মিশরের সীমান্ত ঘেষে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নতুন অর্থনৈতিক জোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন প্রিন্স বিন সালমান। তেলের দাম কমে যাওয়ায় আগামী দিনে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক মন্দা থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই এরকম উদ্যোগ নিচ্ছে সৌদি সরকার। তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটনের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে চায় সরকার।
এমনকি নারীদের অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহন বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বর্তমানে নারীদের অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহনের হার ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সৌদি আরব একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সুন্নি ইসলামের ওয়াবিজম ধারণার আলোকে এর সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। প্রিন্স বিন সালমান এবছরের প্রথম দিকে হঠাৎ করেই সৌদি রাজতন্ত্রের উত্তরসূরি হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। এরই মধ্য তিনি একজন উদার সামাজিক সংস্কারক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে তার বৈদেশিক নীতি নিয়েও সমালোচনা রয়েছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত ও ইরানের বিরুদ্ধে তার আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে আলোচিত হয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি কাতার নিয়ে উপসাগরীয় সংকটে তার ভূমিকা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতমাসে সৌদি সরকার এক ফরমান জারির মাধ্যমে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়।