হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁঃপুর্ব শত্রুতার জের ধরে নওগাঁর সাপাহারে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের অন্ধকারে আদিবাসীদের আম বাগানের বড় বড় ২০টি ফজলী, ২০ টি খীরসা, ১৫ টি আশিনা রুপালী সহ মোট ছয়শতটি আম গাছ কেটে ফেলেছে। এতে প্রায় পাঁচ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে কতিপয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার বাবুপুর মধ্যপাড়া গ্রামে। স্থানীয় লোকজন জানান বাবুপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা মৃত- বুধুয়া উরাও এর পূত্র রবীন্দ্র উরাও ও একই গ্রামের মৃত- ছানছা উরাও
এর পুত্র মহিন্দ্র উরাও বাবুপুর মৌজার ৬৯ দাগের প্রায় বেশ কয়েক বিঘা জমির উপর ৪/৫ বছর ধরে আম রুপালি আমের বাগান তৈরী করে ভোগদখল করে আসছিল। উক্ত সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ আব্দুল গফুর মাস্টার দিং এর সাথে আদিবাসীদের আদালতে একাধীক মামলা মোকদর্দ্দমা বিদ্যমান রয়েছে।
এরই এক পর্যায় নিফল উরাও এর পিতা রাতিয়া উরাও অজ্ঞাত নামা দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়। পরে পুলিশ তিলনা এলাকার একটি রাস্তার পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিদ্যুৎ, বিলু, কালু সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নিফল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদিবাসীর হত্যা কান্ডের ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয় পুলিশের রহস্য জনক ভুমিকা পরিলক্ষিত হয় ফলে বিষয়টি সি আই ডি পুলিশ তদন্ত করেন। এ দিকে প্রতি পক্ষের অভিযুক্তরা ওই মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলার বাদী উক্ত বাবুপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা মৃত- রাতিয়া উরাও এর পূত্র নিফল উরাও বাবুপুর মৌজার একই দাগের প্রায় দুই বিঘা জমির উপর থেকে ২০০ আম গাছ কেটে ক্ষতি সাধন সহ তাকে প্রকাশ্য হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল। আর এর প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজন গত ২০ অক্টোবর রাতের অন্ধকারে ফের আদিবাসীদের ওই বাগানের ৬শটি আম গাছ কেটে ফেলেছে বলে আদিবাসীরা জানান। ক্ষতিগ্রস্থ্য আদিবাসী বাগান মালিক নিফল,রবীন্দ্র ও মহিন্দ্র অভিযোগ করেন যে ওই গ্রামের প্রভাবশালী আল হাজ্ব আঃ গফুর দিং সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে আর একের পর এক এই ধরনের ক্ষতি করে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আবু সাইদ বিলুর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সে বিষয়টি জানে না বলে অস্বীকার করেন। সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শামসুল আলম শাহ জানান, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।