হাওর বার্তা ডেস্কঃ হিমালয়ের কোলঘেঁষা ঠাকুরগাঁও জেলায় ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। ক্রমেই কমছে বাতাসের আর্দ্রতা আর বাড়ছে হিমেল ঠাণ্ডা পরশ। বর্তমানে দিনের বেলায় গরম ও রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে ঠাণ্ডার কারণে ভোর বেলায় কাঁথা শরীরে মুড়িয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের আগমন জানান দিচ্ছে কুয়াশার উপস্থিতি। কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে এখানে কুয়াশা পড়ছে। ভোরবেলা কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে সবদিক। এ কারণে রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর বৃষ্টির মত টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ধানের শীষে কুয়াশা বিন্দু বিন্দু জমতে দেখা যায়। সকালে যারা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করেন কুয়াশার কারণে তাদের কাপড় ভিজে যায়।
ঠাকুরগাঁও রুহিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড গরমে জনজীবন যখন কাহিল, তখনই শীত প্রশান্তির বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আমন ধান পাকা শুরু করলেই আমরা বুঝি শীত আসছে। আমাদের মাঝে শীত আসে প্রচণ্ড গরমের উপর হিমেল শীতের পরশ হিসেবে।
কলেজ শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, শীতকাল বলতে আমরা উৎসবের ঋতুকে বুঝি। এ সময় গ্রাম বাংলায় পিঠা পুলি আর ভাপাপিঠার আয়োজন করা হয়।
স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, শীতটা আমার কাছে খুব অনুভবের। শীতে মোটা জামাকাপড় পড়ে যেখানে খুশি ঘুরে বেড়ানো যায়। কিন্তু গরমে সেটা সম্ভব নয়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডা. শাহজাহান নেওয়াজ জানান, বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষনে শীত ও গরম বিরাজ করছে। পাশাপাশি এ কারণে শিশুদের মাঝে দেখা দিচ্ছে সর্দি কাশি। তাই এ সময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যাতে শিশুদের শীত গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, বর্তমানে দিনের বেলায় বাতাসের আদ্রতা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতের বেলা ২৩-২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।