টাকাই কি বিলাসবহুল জীবনের একমাত্র চাবিকাঠি! না, এছাড়াও কয়েকটি অপরিহার্য উপাদান আছে, যা বিলাসবহুল হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। বিলাসিতা একটি ভিন্ন ব্যাপার। এর জন্য টাকার পেছনে হন্য হয়ে ছুটতে হয় না।
যে ব্যাপারগুলো জীবনের বিলাসবহুল উপাদানের মধ্যে পড়ে-
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম: এটা জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য বিলাসিতা। রাতে ৭ ঘন্টা বা তার বেশী ঘুমাতে না পারলে সারাদিন ধ্বংস্তুপের মধ্য দিয়ে কাটে। চোখ খোলা রাখাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো ঘুম সংকটে না পড়া পর্যন্ত ঘুমকে আমরা বিলাসিতা হিসেবে মেনে নেই না।
বিশ্রামের ব্যক্তিগত কক্ষ: জায়গা কেবল চূড়ান্ত চাহিদা নয়, এই জনাকীর্ণ শহরের ক্ষুদ্র কোনো বাড়িতে নিজের বিশ্রামের আলাদা ঘর থাকা একটি বড় বিলাসিতা। কিশোর বা প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্যই নিজস্ব কক্ষ প্রয়োজন, যার ভেতরে রাখা যাবে পছন্দের সব জিনিস আর দরজায় লেখা থাকবে- ‘প্রবেশ নিষেধ’।
অর্থ ছাড়াও যেসব উপাদান বিলাসবহুল জীবনে অপরিহার্য
জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়া: বসবাস, পড়াশোনা, অর্থ বিনিয়োগ, জীবনসঙ্গী নির্বাচন, কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করা- এসব বড় বিষয়ের ক্ষেত্রে কেবল নয়, সকালের নাস্তায় কী থাকবে, ঘরের দেয়াল কী রঙের হবে, ছুটির দিনে কোথায় বেড়ানো যাবে, টিভিতে কী অনুষ্ঠান দেখতে হবে ইত্যাদি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা একটি বড় ব্যাপার। সব সিদ্ধান্ত নিজে নেয়াটা কি বিলাসিতার মধ্যেই পড়ে না?
‘না’ বলার স্বাধীনতা: পছন্দ-অপছন্দের সুযোগ যাদের আছে তাদের কাছে এটি বড় কোনো উদাহরণ নয়। কিন্তু এই সুযোগ না থাকলে বোঝা যাবে ‘না’ বলার স্বাধীনতা থাকা বিলাসবহুল জীবনেরই অংশ।
কেনাকাটার চেয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ: একটি গহনা কেনা কিংবা কোনো একটি অচেনা জায়গায় ঘুরতে যাওয়া এই দু’টির মধ্যে দ্বিতীয় পছন্দটা ভালো। জীবনে বস্তুর তুলনায় অভিজ্ঞতা বেশি মূল্যবান। এমনকি প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার মাধ্যমে সহজেই দূরত্ব ঘোচানো যায়। যারা অভিজ্ঞতা অর্জনের দামি সুযোগটি পেয়ে থাকেন, তাদেরকে বিলাসবহুল জীবনের অধিকারী বললে ভুল বলা হয় না।