ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাবার মৃত্যুশয্যায় পাশে না থাকায় স্ত্রীকে ‘বয়কট’ করলেন হিরো আলম ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ২৩ ফিলিস্তিনি, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫১ হাজার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ বুনো ফুলে বেগুনিগলা মৌটুসি দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা মিরপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মীদের ওপর হামলা, বিক্ষোভ গ্রীষ্মে কেমন হতে পারে লোডশেডিং, সামাল দিতে সরকারের পরিকল্পনা কী সন্তানদের ছত্রাকযুক্ত রুটি খাওয়াচ্ছেন গাজার মায়েরা আগুন আতঙ্ক চলন্ত ট্রেন থেকে দম্পতির লাফ, কোলে থাকা শিশুর মৃত্যু আলোচনায় গুরুত্ব পাবে নির্বাচন, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যু আজ ঢাকায় ২ মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ বার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে চরপার্বতী ২নং ওয়ার্ডের রহিমিয়া এতিমখানার পাশে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি চরহাজারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। গত সপ্তাহে ওমরাহ শেষ করে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চৌধুরীহাট-আমতলী রোডের ২৪ ঘন্টা এলাকায় ওত পেতে থাকা ২০-২২ জনের সন্ত্রাসীদল তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দুই দফায় গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, রাত ৯টার দিকে আমার ভাই মিলনের ফোন পেয়ে দাগনভূঞা থেকে সিএনজি করে ফেরার পথে চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজিকে অনুসরণ করে ২-৩টি মোটরসাইকেল। বিষয়টি আমার ভাই মিলন বুঝতে পেরে তার মামা শ্বশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইলে অবগত করেন।

এরমধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা সিএনজির গতিরোধ করে আমার ভাই মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে রহিমিয়া এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন তাকে বাঁচাতে গেলেও হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ না করলে আমাকেও হত্যা করতো সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুর রহিম রাকিব বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।

নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মিলনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। ওই মুঠোফোনে হতাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রাতে তাকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশের দু’টি দল ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাবার মৃত্যুশয্যায় পাশে না থাকায় স্ত্রীকে ‘বয়কট’ করলেন হিরো আলম

কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মিলন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে চরপার্বতী ২নং ওয়ার্ডের রহিমিয়া এতিমখানার পাশে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তিনি চরহাজারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন। গত সপ্তাহে ওমরাহ শেষ করে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চৌধুরীহাট-আমতলী রোডের ২৪ ঘন্টা এলাকায় ওত পেতে থাকা ২০-২২ জনের সন্ত্রাসীদল তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দুই দফায় গেলেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়ে মিলনকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রহীম রাকিব বলেন, রাত ৯টার দিকে আমার ভাই মিলনের ফোন পেয়ে দাগনভূঞা থেকে সিএনজি করে ফেরার পথে চুয়ানির টেক এলাকায় আমাদের সিএনজিকে অনুসরণ করে ২-৩টি মোটরসাইকেল। বিষয়টি আমার ভাই মিলন বুঝতে পেরে তার মামা শ্বশুর যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনকে মোবাইলে অবগত করেন।

এরমধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীরা সিএনজির গতিরোধ করে আমার ভাই মিলনকে ছিনিয়ে নিয়ে রহিমিয়া এতিমখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার পাইপ দিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে যুবদল নেতা মাইন উদ্দিন তাকে বাঁচাতে গেলেও হামলাকারীদের তোপের মুখে পড়ে তিনি চলে যান। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ না করলে আমাকেও হত্যা করতো সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুর রহিম রাকিব বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।

নিহতের স্ত্রী বিবি জুলেখা বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মিলনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। ওই মুঠোফোনে হতাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। রাতে তাকে আটকের খবর পেয়ে পুলিশের দু’টি দল ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।