প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই জাপায় যোগ দেওয়ার জন্য লাইন ধরা শুরু করেছে। আগামী নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাহলে তাদের আর অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
রংপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে শনিবার বিকেলে স্থানীয় জাপা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন তিনি।
এরশাদ আরও বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগ আর বিএনপির দুঃশাসন দেখতে চায় না। তাই আগামীতে জাতীয় পার্টি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যাবে। আগামী নির্বাচনে আর কোনো জোট বা দলের সঙ্গে নয়, এককভাবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।’
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোটায় দাবি করে এরশাদ বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন চরম অশান্তিতে। শিশু নির্যাতন, মানুষ খুন এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্যেই শিশু রাজনসহ অনেক শিশুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কোনোদিন রংপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি। এখানে কোনো শিল্প-কলকারখানা নেই। এখানে গ্যাস না থাকায় কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না।’
রংপুরের মানুষ সিলেট আর ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালায় এটা ভীষণ লজ্জার বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজটি হবে রংপুরে পাইপলাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ করা।’
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মধ্যে কিছুটা হলেও ফাটল ধরেছে, এটা সাময়িক। গত নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি মাত্র দুটি আসন পেয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনের আগে দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে। হারিয়ে যাওয়া সব আসন পুনরুদ্ধার করা হবে।’
এ সময় তিনি আগামী ঈদের পর দলকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করার ঘোষণাও দেন।
স্থানীয় চন্দনপাট ইউনিয়ন জাপার আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা জাপার সদস্য সচিব হোসেন মকবুল শাহারিয়ার, মহানগর জাপার সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এস এম ইয়াসির, সদর উপজেলা জাপা সভাপতি আবেদ আলী ক্যাশিয়ার, বদরগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি আসাদুজ্জামান সাবলু চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।