হাওর বার্তা ডেস্কঃ দক্ষিণ ভারতের মন্দির আর বিভিন্ন পর্যটন স্থান দেখতে ৮ অক্টোবর পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন ২৪ বছরের রাশিয়ান পর্যটক এ ইভানগেলিন। চলে যান চেন্নাই। তারপর মন্দিরের শহর কাঞ্চিপুরমে।
কিন্তু সেখানে গিয়েই বিপদে পড়ে যান তিনি। এটিএমে লাইন দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন কার্ডের পিন নম্বর ব্লক হয়ে যায়। মাথায় আকাশ ভেঙে তাঁর। টাকা ছাড়া কীভাবে চলবেন? কী খাবেন?
মাথায় যখন এসব বিষয় ঘোরপাক খাচ্ছিল, তখন তাঁর চোখে পড়ে কাঞ্চিপুরমের কুমারপোট্টম মন্দিরটি। মন্দিরের সামনে দেখেন অনেক মানুষ হাতে পাত্র নিয়ে মন্দিরের দরজার সামনে বসে আছে। মন্দিরে আসা অনেকে সেই পাত্রে টাকা দিচ্ছেন। ভাবলেন তিনিও সেখানে টাকা চাইবেন। কিন্তু কীভাবে চাইবেন। তিনি তো এখানকার ভাষা জানেন না। পাত্রও নেই।
অগত্যা তাঁর মাথায় বুদ্ধি এসে যায়। নিজের মাথার টুপিটি খুলে সেটিকে পাত্র হিসেবে হাতে তুলে ধরেন। তাতে সাড়াও পান। ভিক্ষুকদের মধ্যে এক বিদেশি ভিক্ষুক থাকায় নজর কাড়েন সবার। তারা খবর দেয় নিকটবর্তী শিবকাশি থানায়। পুলিশও চলে আসে। পুলিশের কাছে ওই পর্যটক তাঁর পাসপোর্ট, এটিএম কার্ডসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখিয়ে বোঝাতে সক্ষম হন তাঁর সংকটের কথা। সব কথা শুনে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানবিক দিকটি ভেবে তুলে দেন ৫০০ রুপি। এরপর বলেন, তিনি যেন চেন্নাই চলে যান। এবং রাশিয়ান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে থানা কর্তৃপক্ষই তাঁকে চেন্নাই পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
ইতিমধ্যে এই পর্যটকের দুরবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে পড়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি টুইট করেন। লেখেন, ‘ইভানগেলিন, তোমার দেশ রাশিয়া আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু। চেন্নাইয়ে আমার দপ্তরের আধিকারিকরা তোমাকে সব রকম সাহায্য করবে।