প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্ট্রের গ্রেনেড হামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানও জড়িত- এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা এ দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চান। মানুষের ভালো হোক, কল্যাণ হোক, উন্নতি হোক- তা তারা চান না।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, এই বিচার অবশ্যই হতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস-হত্যা এবং আন্দোলনের নামে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীদের বিচারও বাংলার মাটিতেই হবে।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের শহীদদের অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য ছিল তাকে হত্যা করা। এর মাধ্যমে সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগকেও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গ্রেনেড হামলার আলামত রক্ষা দূরে থাক, বরং সিটি করপোরেশনের গাড়ি এনে সব আলামত ধুয়েমুছে নষ্ট করে। এ হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদেরও দেশের বাইরে চলে যেতে সহায়তা করেছিল তখনকার সরকার। হামলার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে থানায় মামলা এবং শোক মিছিলও করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি সংসদেও আওয়ামী লীগকে এ নিয়ে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর প্রসঙ্গ তুলে ধরে খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, খুনিদের কাউকে কাউকে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় দেওয়ায় তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায়নি। খুনিদের দুইজন আমেরিকা ও কানাডায় এবং আরও দুইজন পাকিস্তান রয়েছে। এভাবে তারা শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের খুনিদের আশ্রয় দিয়ে কীভাবে মানবাধিকারের কথা বলে?
পরে ২১ আগস্টের শহীদদের স্বজন এবং আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে কাছে পেয়ে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং আহতদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেখ হাসিনাকেও চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।