হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০১৭-১৮’ শীর্ষক কর্মশালায় ইলিশপ্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণে ২২ দিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালায় জানানো হয়, এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় প্রথম ৫ দিনে ১শ’ জন এবং পরের ৫ দিনে আরও ৭৪৬ জন জেলেকে আটক করা হয়। দ্বিতীয় ৫ দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের হার ৭ গুণ বেড়েছে, যা বেশ উদ্বেগজনক। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বক্তারা বলেন, ইলিশের উত্পাদন বৃদ্ধি পেলে জেলেরাই লাভবান বেশি হবেন। তাই প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত। বক্তারা জানান, সরকার মেস্যর উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রমকে জোর দিয়ে গবেষণা ইনস্টিটিউটের বাজেট বৃদ্ধি করেছে এবং ২ শতাধিক নতুনপদ সৃজন করেছে। এছাড়াও গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন উন্নয়নপ্রকল্পও অনুমোদন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মত্স্য সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মত্স্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, অতিরিক্ত সচিব ড. নজরুল আনোয়ার এবং মত্স্য অধিদফতরের ডিজি সৈয়দ আরিফ আজাদ। প্রধান অতিথি জাতীয় অর্থনীতিতে মত্স্যখাতকে খুবই সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশের অধিক মত্স্যখাতে নির্ভরশীল এবং দেশের মোট আমিষের ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ অর্জিত হয় এই খাত থেকে। মিঠাপানির মাছের উত্পাদনে সফল হলেও সামুদ্রিক ও লোনাপানির মাছের উত্পাদনে দেশ পিছিয়ে আছে। উপকূলীয় এলাকায় চিংড়ি ছাড়াও প্রাকৃতিক সুস্বাদুমাছ যেমন পারশে, দাতিনা, চিত্রা, তোপ্সে, নোনা টেংরা, কাইন, মাগুর ইত্যাদি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, যা রোধ করা জরুরি। কর্মশালায় সারাদেশ থেকে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মত্স্যসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও চাষিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সংবাদ শিরোনাম
ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১১:১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭
- ৩৬৯ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ