ঝিনাইদহে বাণিজ্যিকভাবে কাশফুলের চাষ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহে বাণিজ্যিকভাবে কাশফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলে মেঠো পথে কাশফুল শুধু সৌন্দর্য্যই বৃদ্ধি করে না, আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতাও আনে। ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জে বর্তমানে গাদাফুল, রজনীগন্ধ্যাসহ বিভিন্ন ফুলেরও চাষ হচ্ছে।

অন্যান্য ফুল চাষের মতো কাশফুল চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কারণ কাশফুল চাষ করতে খরচ খুবই কম। কাশফুল চাষ করে এবার নজির সৃষ্টিতে দুই উপজেলার চাষিরা অধিক আগ্রহে এগিয়ে যাচ্ছেন।

কাশফুল চাষিরা জানান, কাশবনে গজিয়ে ওঠা অন্যান্য আগাছাগুলো পরিষ্কার করে সার দিলেই চলে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে কাশবন কাটতে হয়। কাশবনের খড় বিক্রয় করতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। খেত থেকেই পাইকারী ব্যবসায়ী ছাড়াও পানচাষিরা কিনে নিয়ে যায় তাদের বরজ ছাওয়ার জন্য।

কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের চাষি খোকন জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে কাশফুলের চাষ করেছেন। গত বছর তিনি ১ লাখ টাকার উপরে ঝাটি বিক্রি করেছেন।

এখন পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এ বছর তিনি দুই লাখ টাকার উপরে ঝাটি বিক্রি করবে বলে আশা করেছেন। তাছাড়া একই গ্রামের, মুকুল, লুৎফর কাশফুলের চাষ করছেন।

অনুরুপভাবে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের হারুন কাশফুলের চাষ করছেন। পানচাষিরা জানান, কাশবন থেকে পাওয়া খড় ও ঝাটি পানের বরজের জন্য খুবই প্রয়োজন। খড় দিয়ে পানের বরজে ছাউনি দেয়া হয়। পান গাছের শলার সাথে বেধে উপরে তুলতে সাহায্য করে। সুতলি বা অন্য কিছু দিয়ে বাধলে অল্প দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু খড় দিয়ে বাধলে অনেক দিন থাকে। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। এ কারণে বরজে খড় ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে ঝাঁটি বরজের ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, কাশফুল চাষ করলে অল্প খরচে অধিক অর্থ পাওয়া যায়। অকারণে কোনো জমি পড়ে থাকে না, আবার আয়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর