ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সস’-এর পূর্বাভাষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩৯৯ বার

জন ম্যাকেনরো। যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টেনিস ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৭ গ্রান্ড স্লাম শিরোপা। টেনিসের প্রথম ‘ব্যাড বয়’ বলা হয় তাকে। নানা বিকর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন খেলোয়াড়ী জীবনে। খেপাটে স্বভাবের কারণে অনেকের কথাও শুনতে হয়েছে তারা। বয়স এখন ৫৬ বছর। কিন্তু এই বয়সে অন্য রকম এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে নারীদের এক নম্বর তারকা স্বদেশী সেরেনা উইলিয়ামসকে এখনও হারাতে পারেন বলে জানলেন। এই ‘ব্যাটল অব দ্যা সেক্সস’-এ তিনিই জয়ী হবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার। রেকর্ড পয়েন্ট নিয়ে নারীদের টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে এখন সেরেনা। এ বছর গ্রান্ড স্লামের তিন আসরের শিরোপাই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। আগামী মাসে ইউএস ওপেন জিতলে প্রথমবারের মতো বছরের চার শিরোপা জেতার বিরল কৃতিত্ব দেখাবেন তিনি। কিন্তু ফর্মের তুঙ্গে থাকা ৩৩ বছর বয়সী এই নারী খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বদেশী সাবেক খেলোয়াড় ম্যাকেনরো। নারী-পুরুষের মধ্যে টেনিস লড়াই তথা ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সস’ দেখা গেছে খুব কমই। ১৯৭৩ সালের একটি লড়াই এখনও টেনিসে স্মরণীয় হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নারী টেনিস তারকা বিলি জিন তখন ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা তখন তিনি। হঠাৎ তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেন ৫৫ বছর বয়সী পুরুষ সাবেক খেলোয়াড় ববি রিগস। দু’জন মুখোমুখি হন হসটনে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নারী খেলোয়াড় বিলি জিনকে হারিয়ে দেন ববি রিগস। ম্যাকেনরো এখনও সেরেনাকে তেমন সরাসরি ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন নি। তবে তার দৃঢ় বিশ্বাস সেরেনা তার সঙ্গে পারবেন না। বলেন, ‘আমার মেয়েও টেনিস খেলে। সে প্রায়ই আমাকে বলে, আমি নাকি এখনও সেরেনাকে হারাতে পারবো। তাকে কিছু না বললেও মনে হয়, সত্যিই তাকে এখনও আমি হারাতে পারবো।’ তবে এটা যে সম্পূর্ণ চ্যালেঞ্জ নয় সেটা বুঝা গেল পরের কথায়। মজা করে তিনি বলেন, ‘সে অনেক ম্যাচ হেরেছে, আমিও হেরেছি। তবে ঈশ্বর আমাকে মেয়েদের কাছে হারতে নিষেধ করেছেন। আর সত্যি সত্যিই যদি আমি মেয়ে খেলোয়াড় সেরেনার কাছে হেরে যাই তাহলে আগামী ৫০ বছর ছেলেদের লকার রুমে আমাকে ঢুকতে দিবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সস’-এর পূর্বাভাষ

আপডেট টাইম : ১০:৫২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০১৫

জন ম্যাকেনরো। যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড়। ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টেনিস ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৭ গ্রান্ড স্লাম শিরোপা। টেনিসের প্রথম ‘ব্যাড বয়’ বলা হয় তাকে। নানা বিকর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন খেলোয়াড়ী জীবনে। খেপাটে স্বভাবের কারণে অনেকের কথাও শুনতে হয়েছে তারা। বয়স এখন ৫৬ বছর। কিন্তু এই বয়সে অন্য রকম এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে নারীদের এক নম্বর তারকা স্বদেশী সেরেনা উইলিয়ামসকে এখনও হারাতে পারেন বলে জানলেন। এই ‘ব্যাটল অব দ্যা সেক্সস’-এ তিনিই জয়ী হবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তার। রেকর্ড পয়েন্ট নিয়ে নারীদের টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে এখন সেরেনা। এ বছর গ্রান্ড স্লামের তিন আসরের শিরোপাই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। আগামী মাসে ইউএস ওপেন জিতলে প্রথমবারের মতো বছরের চার শিরোপা জেতার বিরল কৃতিত্ব দেখাবেন তিনি। কিন্তু ফর্মের তুঙ্গে থাকা ৩৩ বছর বয়সী এই নারী খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বদেশী সাবেক খেলোয়াড় ম্যাকেনরো। নারী-পুরুষের মধ্যে টেনিস লড়াই তথা ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সস’ দেখা গেছে খুব কমই। ১৯৭৩ সালের একটি লড়াই এখনও টেনিসে স্মরণীয় হয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নারী টেনিস তারকা বিলি জিন তখন ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা তখন তিনি। হঠাৎ তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেন ৫৫ বছর বয়সী পুরুষ সাবেক খেলোয়াড় ববি রিগস। দু’জন মুখোমুখি হন হসটনে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা নারী খেলোয়াড় বিলি জিনকে হারিয়ে দেন ববি রিগস। ম্যাকেনরো এখনও সেরেনাকে তেমন সরাসরি ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ ছোড়েন নি। তবে তার দৃঢ় বিশ্বাস সেরেনা তার সঙ্গে পারবেন না। বলেন, ‘আমার মেয়েও টেনিস খেলে। সে প্রায়ই আমাকে বলে, আমি নাকি এখনও সেরেনাকে হারাতে পারবো। তাকে কিছু না বললেও মনে হয়, সত্যিই তাকে এখনও আমি হারাতে পারবো।’ তবে এটা যে সম্পূর্ণ চ্যালেঞ্জ নয় সেটা বুঝা গেল পরের কথায়। মজা করে তিনি বলেন, ‘সে অনেক ম্যাচ হেরেছে, আমিও হেরেছি। তবে ঈশ্বর আমাকে মেয়েদের কাছে হারতে নিষেধ করেছেন। আর সত্যি সত্যিই যদি আমি মেয়ে খেলোয়াড় সেরেনার কাছে হেরে যাই তাহলে আগামী ৫০ বছর ছেলেদের লকার রুমে আমাকে ঢুকতে দিবে না।