ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ঠেকাতে আরও কঠোর ভারত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরও কঠোর মনোভাব নিচ্ছে ভারত। মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশ দিয়েও যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভারতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মঙ্গলবার উত্তর–পূর্ব ভারত সরকারের বিশেষ দল আগরতলা যাচ্ছে।

উত্তর–পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের এক ইঞ্চিও সীমান্ত নেই। তবু সতর্ক রয়েছে রাজ্যটি। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নৌ ও স্থলে সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিএসএফের আসাম ফ্রন্টিয়ারের আইজি রাকেশ আগরওয়াল। তিনি জানান, স্থলসীমান্তে ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নৌ–সীমান্তে।

আসামের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৬২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪৮ কিলোমিটারই নৌ–সীমান্ত। বিএসএফের আইজি জানান, এই নৌ–সীমান্তে টহলদারির জন্য ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা আসামে ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

আসামের পাশাপাশি মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও ত্রিপুরাতেও সীমান্তে টহলদারি চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ টহলদারি চালালেও মিয়ানমার সীমান্তে টহলদারি চালাচ্ছে আসাম রাইফেলস।

এদিনই ইম্ফলে মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর লালজিরিলিডিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭০ জন আরাকান শরণার্থীকে আবার ফেরত পাঠিয়েছে প্রশাসন।

মিজোরামের মিয়ানমারের সঙ্গে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার সীমান্ত। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যটির সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩১৮ কিলোমিটার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গা ঠেকাতে আরও কঠোর ভারত

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আরও কঠোর মনোভাব নিচ্ছে ভারত। মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশ দিয়েও যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভারতে ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মঙ্গলবার উত্তর–পূর্ব ভারত সরকারের বিশেষ দল আগরতলা যাচ্ছে।

উত্তর–পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের এক ইঞ্চিও সীমান্ত নেই। তবু সতর্ক রয়েছে রাজ্যটি। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নৌ ও স্থলে সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বিএসএফের আসাম ফ্রন্টিয়ারের আইজি রাকেশ আগরওয়াল। তিনি জানান, স্থলসীমান্তে ইতিমধ্যেই বেড়া দেওয়ার কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে নৌ–সীমান্তে।

আসামের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৬২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪৮ কিলোমিটারই নৌ–সীমান্ত। বিএসএফের আইজি জানান, এই নৌ–সীমান্তে টহলদারির জন্য ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা আসামে ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

আসামের পাশাপাশি মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও ত্রিপুরাতেও সীমান্তে টহলদারি চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ টহলদারি চালালেও মিয়ানমার সীমান্তে টহলদারি চালাচ্ছে আসাম রাইফেলস।

এদিনই ইম্ফলে মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর লালজিরিলিডিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭০ জন আরাকান শরণার্থীকে আবার ফেরত পাঠিয়েছে প্রশাসন।

মিজোরামের মিয়ানমারের সঙ্গে রয়েছে ২৫০ কিলোমিটার সীমান্ত। বাংলাদেশের সঙ্গে এই রাজ্যটির সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩১৮ কিলোমিটার।