হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও নয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় ১৪ জনের লাশ ভেসে এসেছিল।
রাখাইন রাজ্যের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় নারী, শিশুসহ ৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গা ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় করে টেকনাফে আসছিল। রাত ৯টার দিকে নৌকাটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান হাওর বার্তাকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ সদরে হাবিরছড়া, রাজারছড়া এলাকায় জোয়ারের পানির সঙ্গে সৈকত ভেসে আসে আরও নয় লাশ। বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন লাশগুলো উদ্ধার করে। লাশগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ উদ্ধার হওয়া ৯ জনের মধ্যে আট নারী ও এক শিশু রয়েছে। এ নিয়ে ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২ শিশু, ১০ নারী ও ১জন পুরুষ।
প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদী এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। ২৯ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবাহী ২৫টি নৌকা ডুবির ঘটনায় ১৫৭জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি। তিনি নৌকার মাঝি ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে উখিয়া থেকে ২৮ এবং টেকনাফ থেকে ১২৯জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮১টি শিশু, ৪৯ নারী ও ২৬জন পুরুষ।