ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়ানাকে ঘনিষ্ঠভাবে পেতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রয়াত বধূ প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করার ইচ্ছা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে উপস্থাপক ডিজে হাওয়ার্ড স্টার্নের এক রেডিও শোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তাঁর এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই রেডিও সাক্ষাৎকারটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি ফ্যাক্টবেস ওয়েবসাইটে পাঠালে তা নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রিন্সেস ডায়ানা যদি সুযোগ দিতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে একটুও ভাবতাম না।’ এরপরেই হাসতে হাসতে মজা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তবে এর আগে তাঁকে অবশ্যই এইচআইভি পরীক্ষা করাতে বলতাম।’

ট্রাম্প বলেন, ‘প্রিন্সেস ডায়ানা একজন “পাগল”; তবে তিনি অসম্ভব সুন্দরী ও সুপারমডেল ছিলেন। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য ও ত্বক সব মিলিয়ে তিনি অসাধারণ ছিলেন।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্সসাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে উপস্থাপক হাওয়ার্ড স্টার্ন প্রশ্ন করেন, ‘আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে আবেদনময়ী ১০ নারী কে কে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাঁর কাছে সবচেয়ে আবেদনময়ী নারীর তালিকায় প্রিন্সেস ডায়ানার অবস্থান তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবেক স্ত্রী ইভানা।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এই রেডিও সাক্ষাৎকারে নয়, ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ট্রাম্পের ‘দ্য আর্ট অব কামব্যাক’ বইয়েও ডায়ানার প্রশংসা করেছেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর তিন মাস পরে বইটি প্রকাশ করা হয়।

‘দ্য আর্ট অব কামব্যাক’ বইয়ে ডায়ানা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষকে মুগ্ধ করার অপূর্ব ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি এলেই যেন ঘর আলোকিত হয়ে ওঠে। তিনি প্রকৃত প্রিন্সেস—স্বপ্নের নারী।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ডায়ানার বিভিন্ন সময়ে দেখা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ম্যানহাটনের হিলটন হোটেলে এক নৈশভোজে তাঁরা এক টেবিলেই বসেছিলেন। সেখানে ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মারলাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ডায়ানার প্রতি ট্রাম্পের বিপুল আগ্রহ থাকলে তাঁর প্রতি ডায়ানার আগ্রহ ছিল কি না, এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০১৫ সালে বিবিসির উপস্থাপক সেলিনা স্কট দাবি করেন, ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পরে ডায়ানার ৩৫তম জন্মদিনে তাঁর কেনসিংটন প্যালেসে অসংখ্য ফুলের তোড়া পাঠিয়ে দেন ট্রাম্প, যার প্রতিটি ফুলের তোড়ার দাম ছিল ১০০ পাউন্ড করে। সে সময় বিবাহবিচ্ছেদের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে একটি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানা নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন, ডায়ানার সঙ্গে ‘ডেট’ করতে না পারাটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। তিনি সব সময় ভাবতেন, ডায়ানার সঙ্গে রোমাঞ্চ করার সুযোগ একদিন না একদিন তাঁর আসবেই। কিন্তু এর আগেই চলে গেলেন ডায়ানা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ডায়ানাকে ঘনিষ্ঠভাবে পেতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

আপডেট টাইম : ০৬:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রয়াত বধূ প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করার ইচ্ছা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৭ সালে উপস্থাপক ডিজে হাওয়ার্ড স্টার্নের এক রেডিও শোতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তাঁর এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই রেডিও সাক্ষাৎকারটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি ফ্যাক্টবেস ওয়েবসাইটে পাঠালে তা নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়।

ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘প্রিন্সেস ডায়ানা যদি সুযোগ দিতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে একটুও ভাবতাম না।’ এরপরেই হাসতে হাসতে মজা করে ট্রাম্প বলেন, ‘তবে এর আগে তাঁকে অবশ্যই এইচআইভি পরীক্ষা করাতে বলতাম।’

ট্রাম্প বলেন, ‘প্রিন্সেস ডায়ানা একজন “পাগল”; তবে তিনি অসম্ভব সুন্দরী ও সুপারমডেল ছিলেন। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য ও ত্বক সব মিলিয়ে তিনি অসাধারণ ছিলেন।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্সসাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে উপস্থাপক হাওয়ার্ড স্টার্ন প্রশ্ন করেন, ‘আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে আবেদনময়ী ১০ নারী কে কে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, তাঁর কাছে সবচেয়ে আবেদনময়ী নারীর তালিকায় প্রিন্সেস ডায়ানার অবস্থান তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবেক স্ত্রী ইভানা।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু এই রেডিও সাক্ষাৎকারে নয়, ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ট্রাম্পের ‘দ্য আর্ট অব কামব্যাক’ বইয়েও ডায়ানার প্রশংসা করেছেন তিনি। ডায়ানার মৃত্যুর তিন মাস পরে বইটি প্রকাশ করা হয়।

‘দ্য আর্ট অব কামব্যাক’ বইয়ে ডায়ানা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষকে মুগ্ধ করার অপূর্ব ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি এলেই যেন ঘর আলোকিত হয়ে ওঠে। তিনি প্রকৃত প্রিন্সেস—স্বপ্নের নারী।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে ডায়ানার বিভিন্ন সময়ে দেখা হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ম্যানহাটনের হিলটন হোটেলে এক নৈশভোজে তাঁরা এক টেবিলেই বসেছিলেন। সেখানে ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মারলাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ডায়ানার প্রতি ট্রাম্পের বিপুল আগ্রহ থাকলে তাঁর প্রতি ডায়ানার আগ্রহ ছিল কি না, এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০১৫ সালে বিবিসির উপস্থাপক সেলিনা স্কট দাবি করেন, ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। এর কয়েক মাস পরে ডায়ানার ৩৫তম জন্মদিনে তাঁর কেনসিংটন প্যালেসে অসংখ্য ফুলের তোড়া পাঠিয়ে দেন ট্রাম্প, যার প্রতিটি ফুলের তোড়ার দাম ছিল ১০০ পাউন্ড করে। সে সময় বিবাহবিচ্ছেদের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে একটি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানা নিহত হওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর বন্ধুদের বলেছিলেন, ডায়ানার সঙ্গে ‘ডেট’ করতে না পারাটা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। তিনি সব সময় ভাবতেন, ডায়ানার সঙ্গে রোমাঞ্চ করার সুযোগ একদিন না একদিন তাঁর আসবেই। কিন্তু এর আগেই চলে গেলেন ডায়ানা।