গাজীপুর জেলার দক্ষিণ সালনা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে ঢাকার এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সুশীল সমাজ এমনকি ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে যখন ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে তখন এ ঘটনা ঘটল। নিহত যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান (৩৫) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াবাড়ি এলাকার মো. জৈবতুল্লার ছেলে। তিনি ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডার শিমুলতলা এলাকায় থাকতেন। তিনি ঢাকার বাড্ডা ৯৭নং ওয়ার্ডের শিমুলতলা ইউনিটের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
গাজীপুর জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, গতকাল রাতে দক্ষিণ সালনা এলাকায় বাড্ডা থানার ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ সাইদুর রহমান তার সহযোগীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ আটক করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সালনা এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে আরো অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাকে নিয়ে রাতে দক্ষিণ সালনা এলাকায় হাতেমের বাড়ির পুকুরপাড়ে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা সহযোগীরা সাইদুরকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুরুতর হন সাইদুর। পরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
বন্দুকযুদ্ধে আহত দুই ডিবি পুলিশ সদস্য হলেন- ইয়াসিন (৩০) ও উজ্জল (৩১)। তাদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রঞ্জিত কুমার পাল জানান, হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। তার দুই পায়ের উরুতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আহত দুই পুলিশ সদস্যকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সাইদুরকে ঢাকার বাড্ডা এলাকার একজন ‘তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী’ বললেও পরিবারের দাবি, তিনি এলাকায় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নিহতের ভাই সাজেদুর রহমান বলেন, আমার ভাই সাইদুর রহমান উত্তর বাড্ডার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। বুধবার রাতে বাড্ডা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে আজ (শুক্রবার) খবর পেয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে আমরা তার লাশ শনাক্ত করি। নিহত সাইদুরের বিরুদ্ধে গাজীপুর থানায় ২টি ও বাড্ডা থানায় ৫টি মামলা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।