বিয়ে একটি স্বর্গীয় ব্যপার। বিয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন জীবনের সূচনা হলেও কেউ কেউ হোচঁট খান সংসার জীবনের শুরুতে কিংবা মাঝপথে। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মানুষের কমে আসা ধৈর্য্যকেই অনেকাংশে দায়ী করা হয়।
ভারতের মনোবিজ্ঞানী নিশা খান্না বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কয়েকটি কারণ সম্পর্কে জানিয়েছেন-
স্ত্রীর চেহারা পছন্দ না হলে:
আমরা বিশ্বাস করি বা না করি, বেশীরভাগ পুরুষ স্ত্রীর চেহারা পছন্দ না হওয়ার কারণে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। আরো বেদনাদায়ক বিষয় হল শুধু আনুষ্ঠানিক বিয়ে নয়, প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা অহরহ ঘটে। স্ত্রীর পোশাকের ধরণ, ত্বকের বার্ধক্য ইত্যাদি পুরুষের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শুধু নারীরা সমস্যা মনে করতো।
শাশুড়ি নকল গহনা দিয়ে প্রতারিত করলে:
গহনা মেয়েদের একটি বড় শখ। অসৎ শাশুড়ির কাছ থেকে নকল গহনা পেলে তারা নিজেদের প্রতারিত মনে করে। এছাড়া শাশুড়ির আচরণে অতিষ্ঠ হয়েও বিবাহিত মেয়েদের একটা বড় অংশ বিচ্ছেদ চায়।
স্বামীর পা ছুঁয়ে সালাম করতে হলে:
কিছু নারী বাস্তবতাকে কখনো মেনে নিতে পারে না। ফলে খুঁটিনাটি অনেক কারণে তাদের সংসার টিকে না। ভারতে এমন অনেক নারী পাওয়া গেছে, যারা নিজেদের দম্ভের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয় এবং বিচ্ছেদের পথে হাঁটে।
স্বামী উপস্থাপনযোগ্য না হলে:
পোশাক-আশাকে অপরিপাটি কিংবা কথোপকথনে যথেষ্ট বুদ্ধিমান না হলেই কি কাউকে পরিত্যাগ করা যায়? হ্যাঁ, ইদানিং নারীরা এমনটাই করছে। সঙ্গীর বেশভূষা পছন্দ না হওয়ার কারণে অনেক নারী বিচ্ছেদে মত দিচ্ছে। দুঃখজনক ব্যাপার হল বিয়ের আগে নারীরা এসব বিষয় লক্ষ্য করতে ব্যর্থ হয়।
বিয়ের আগে তুলনামূলক বড় বাড়িতে থাকলে:
বিচ্ছেদের আরেকটি কারণ হল বৈষয়িক ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করা। বিয়ের পর মেয়েরা বুঝে নিচ্ছে কোন ব্যাপারটি মেনে নেয়া যাবে, কোনটি যাবে না। বিরক্তিকর শাশুড়িকে মেনে নিতে পারলেও বসবাসের জন্য বাবার বাড়ির তুলনায় ছোট বাড়িকে তারা মেনে নিতে পারে না। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীরা সমঝোতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আসে। যে কারণে সংসার ভাঙার ঘটনা বেড়েই চলছে।