হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মরা নদী থেকে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় নব-বিবাহিত এক বরের মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। মঙ্গলবার উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকৃত ‘বর’ বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সহিদ ওরফে শুকুর মিয়ার ছেলে ‘সুয়েব মিয়া’ (৩০)।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সুয়েব মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী আব্দুন নূরের মেয়ে ওয়াহিদা বেগমের। সোমবার দিবাগত রাত ছিল নব-দম্পতিদের বাসর রাত। রাত ১০টার পর সুয়েব মিয়া তার সাজানো বাসরঘর থেকে বেরুনোর পর আর ফিরে আসেনি। স্বজনরা রাতভর তাকে আশপাশ এলাকাতে খুঁজতে থাকে। মঙ্গলবার ভোররাতে স্বজনরা তার বসতবাড়ি থেকে ৩০ গজ উত্তরে মরা নদীতে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
নিহতের চাচাতো ভাই ফয়সল আবেদীন সেনা মিয়া হাওর বার্তাকে জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিবেশী আব্দুল গোলাপ ও সুয়েব মিয়ার পরিবারের মধ্যে জায়গা জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। বর্তমানেও ওই মোকদ্দমা সুনামগঞ্জ আদালতে চলমান আছে। মোকদ্দমার প্রধান আসামি ছিলেন সুয়েব মিয়া। আব্দুল গোলাপ প্রায় সময়ই সোয়েব মিয়াকে মারধরের হুমকি ধমকি দিতেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে আছেন। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে তাহিরপুর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মোকদ্দমা দায়ের করা হবে।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।