ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন মিজানুর রহমান আজহারী আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর, প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেফাজত আমির ‘ভারতের কোনো ফাঁদে পা দেবেন না গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে মদনে স্মরণ সভা মানব কল্যাণ ও সমাজ সেবায় অবদান রাখায় ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন নাসির উদ্দিন ভুইঁয়া কুমিল্লায় ট্রেনের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬ ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরই নির্বাচন: ধর্ম উপদেষ্টা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলল ভারত আড়াই বছর কোনোভাবেই বিয়ে করতে পারবেন না উর্বশী!

বাসরঘর থেকে ‍যুবক নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৪৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মরা নদী থেকে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় নব-বিবাহিত এক বরের মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। মঙ্গলবার উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধারকৃত ‘বর’ বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সহিদ ওরফে শুকুর মিয়ার ছেলে ‘সুয়েব মিয়া’ (৩০)।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সুয়েব মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী আব্দুন নূরের মেয়ে ওয়াহিদা বেগমের। সোমবার দিবাগত রাত ছিল নব-দম্পতিদের বাসর রাত। রাত ১০টার পর সুয়েব মিয়া তার সাজানো বাসরঘর থেকে বেরুনোর পর আর ফিরে আসেনি। স্বজনরা রাতভর তাকে আশপাশ এলাকাতে খুঁজতে থাকে। মঙ্গলবার ভোররাতে স্বজনরা তার বসতবাড়ি থেকে ৩০ গজ উত্তরে মরা নদীতে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।

নিহতের চাচাতো ভাই ফয়সল আবেদীন সেনা মিয়া হাওর বার্তাকে জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিবেশী আব্দুল গোলাপ ও সুয়েব মিয়ার পরিবারের মধ্যে জায়গা জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। বর্তমানেও ওই মোকদ্দমা সুনামগঞ্জ আদালতে চলমান আছে। মোকদ্দমার প্রধান আসামি ছিলেন সুয়েব মিয়া। আব্দুল গোলাপ প্রায় সময়ই সোয়েব মিয়াকে মারধরের হুমকি ধমকি দিতেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে আছেন। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে তাহিরপুর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মোকদ্দমা দায়ের করা হবে।

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন মিজানুর রহমান আজহারী

বাসরঘর থেকে ‍যুবক নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ

আপডেট টাইম : ০৫:২১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মরা নদী থেকে হাত-পা মুখ বাঁধা অবস্থায় নব-বিবাহিত এক বরের মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। মঙ্গলবার উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উদ্ধারকৃত ‘বর’ বালিজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সহিদ ওরফে শুকুর মিয়ার ছেলে ‘সুয়েব মিয়া’ (৩০)।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার সুয়েব মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী আব্দুন নূরের মেয়ে ওয়াহিদা বেগমের। সোমবার দিবাগত রাত ছিল নব-দম্পতিদের বাসর রাত। রাত ১০টার পর সুয়েব মিয়া তার সাজানো বাসরঘর থেকে বেরুনোর পর আর ফিরে আসেনি। স্বজনরা রাতভর তাকে আশপাশ এলাকাতে খুঁজতে থাকে। মঙ্গলবার ভোররাতে স্বজনরা তার বসতবাড়ি থেকে ৩০ গজ উত্তরে মরা নদীতে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।

নিহতের চাচাতো ভাই ফয়সল আবেদীন সেনা মিয়া হাওর বার্তাকে জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রতিবেশী আব্দুল গোলাপ ও সুয়েব মিয়ার পরিবারের মধ্যে জায়গা জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। বর্তমানেও ওই মোকদ্দমা সুনামগঞ্জ আদালতে চলমান আছে। মোকদ্দমার প্রধান আসামি ছিলেন সুয়েব মিয়া। আব্দুল গোলাপ প্রায় সময়ই সোয়েব মিয়াকে মারধরের হুমকি ধমকি দিতেন।

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে আছেন। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে তাহিরপুর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মোকদ্দমা দায়ের করা হবে।

তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাদীর লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।