হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক সামরিক বাহিনীকে সামাল দিতে শুধু প্রতিবাদ বা নিন্দা জ্ঞাপন নয়, সে দেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ বাড়াতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
তিনি বলেন, ‘দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ সৃষ্টিতেও আন্তর্জাতিক সমাজকে নিতে হবে দায়িত্ব।’
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলায় উখিয়ার কুতুপালং-এ রোহিঙ্গা শরানার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের এমন সামর্থ্য নেই যে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে পারবে বা তাদের খাবার দিতে পারবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে বহু সমস্যায় জর্জরিত। এখানে রয়েছে চরম বেকার সমস্যা, দেশে কিছুটা হলেও খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার ওপর শরণার্থীচাপ।’
তিনি বলেন, ‘জাতি হিসেবে মানবিক দিক থেকে আমরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। জংলি বর্মিদের অত্যাচারে বাংলাদেশ মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারে না। পুরো দেশ আজ তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে। আমি দেশের বিত্তবানদের রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার অনুরোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কফি আনান কমিশন যে সুপারিশ করেছেন তা মিয়ানমারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। কফি আনান কমিশন মিয়ানমার সরকারই গঠন করেছে। বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ এবং এখন যারা এসেছে, তাদের প্রত্যেক নাগরিককে মিয়ানমারকেই ফিরে নিতে হবে। কারণ এ সমস্যা মিয়ানমার সৃষ্টি করেছে। এ সমস্যার সমাধানও মিয়ানমারকেই করতে হবে।’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘মিয়ানমারের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রত্যাশিত। কিন্তু গুটি কয়েক সন্ত্রাসীদের অপরাধের দায় নিরীহ মানুষের ওপর চাপানোর যে ভ্রান্তিতে সে দেশের সরকার ভুগছে তা দূর্ভাগ্যজনক।’
মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্যের স্বার্থেই এ ভুল পথ থেকে তাদের সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, বিরোধীদলীয় হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, হাজী ইলিয়াস এমপি, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ এমপি, মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, মাহজাবীন মোরশেদ এমপি, খোরশেদ আরা হক এমপি প্রমুখ।