ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গলদা চিংড়ি চাষে জরুরি উপযুক্ত ঘের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে স্বাদু পানির দ্রুত বর্ধনশীল চিংড়ির মধ্যে গলদা চিংড়ি অতি পরিচিত। প্রাকৃতিক পরিবেশে গলদা চিংড়ি স্বাদু পানি এবং ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে পাওয়া যায়।

গলদা চিংড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, কম্পুচিয়া, ভিয়েতনাম, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম মন্ডলীয় এবং আধা গ্রীষ্ম মন্ডলীয় দেশ সমূহের স্বাদু পানিতে পাওয়া যায়।

গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে উপযুক্ত ঘের অবশ্যই জরুরি। একটি ঘেরের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকলে তা গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত। আসুন জেনে নেই ঘেরের বৈশিষ্ট্যসমূহ-

বৈশিষ্ট্য

১. গলদা চিংড়ি চাষের জন্য নির্বাচিত ঘেরে ৪-৬ মাস ৩.০-৪.০ ফুট উচ্চতার পানি ধরে রাখার সুবিধা থাকতে হবে।

২. ঘেরের মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে; যাতে ঘের তাড়াতাড়ি শুকিয়ে না যায়।

৩. সাধারণত দো-আঁশ বা বেলে ও দো-আঁশ মাটির ঘের গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত।

৪. ঘের একটু নিচু জায়গায় হলে পানি ধরে রাখতে সুবিধা হয়।

৫. ঘেরে বন্যার পানি যেন প্রবেশ না করতে পারে এবং বন্যা বা বৃষ্টির পানিতে বাঁধ যেন প্লাবিত না হয়।

৬. নিচু ঘেরের বাঁধ উঁচু করে বেঁধে বন্যামুক্ত করে চিংড়ি চাষের উপযুক্ত করা যায়।

৭. ঘেরের আকার ৩০-১০০ শতাংশ হলে ব্যবস্থাপনার জন্য সুবিধা হয়।

৮. ঘেরে যথেষ্ট সূর্যালোক পড়তে হবে।

৯. ঘেরে উৎপাদিত চিংড়ি বাজারজাত করার সুবিধা থাকতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গলদা চিংড়ি চাষে জরুরি উপযুক্ত ঘের

আপডেট টাইম : ১২:৫২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে স্বাদু পানির দ্রুত বর্ধনশীল চিংড়ির মধ্যে গলদা চিংড়ি অতি পরিচিত। প্রাকৃতিক পরিবেশে গলদা চিংড়ি স্বাদু পানি এবং ঈষৎ লবণাক্ত পানিতে পাওয়া যায়।

গলদা চিংড়ি প্রাকৃতিক পরিবেশে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, কম্পুচিয়া, ভিয়েতনাম, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে পাওয়া যায়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম মন্ডলীয় এবং আধা গ্রীষ্ম মন্ডলীয় দেশ সমূহের স্বাদু পানিতে পাওয়া যায়।

গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে উপযুক্ত ঘের অবশ্যই জরুরি। একটি ঘেরের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য থাকলে তা গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত। আসুন জেনে নেই ঘেরের বৈশিষ্ট্যসমূহ-

বৈশিষ্ট্য

১. গলদা চিংড়ি চাষের জন্য নির্বাচিত ঘেরে ৪-৬ মাস ৩.০-৪.০ ফুট উচ্চতার পানি ধরে রাখার সুবিধা থাকতে হবে।

২. ঘেরের মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে; যাতে ঘের তাড়াতাড়ি শুকিয়ে না যায়।

৩. সাধারণত দো-আঁশ বা বেলে ও দো-আঁশ মাটির ঘের গলদা চিংড়ি চাষের জন্য উপযুক্ত।

৪. ঘের একটু নিচু জায়গায় হলে পানি ধরে রাখতে সুবিধা হয়।

৫. ঘেরে বন্যার পানি যেন প্রবেশ না করতে পারে এবং বন্যা বা বৃষ্টির পানিতে বাঁধ যেন প্লাবিত না হয়।

৬. নিচু ঘেরের বাঁধ উঁচু করে বেঁধে বন্যামুক্ত করে চিংড়ি চাষের উপযুক্ত করা যায়।

৭. ঘেরের আকার ৩০-১০০ শতাংশ হলে ব্যবস্থাপনার জন্য সুবিধা হয়।

৮. ঘেরে যথেষ্ট সূর্যালোক পড়তে হবে।

৯. ঘেরে উৎপাদিত চিংড়ি বাজারজাত করার সুবিধা থাকতে হবে।