হাওর বার্তা ডেস্কঃ পশ্চিম তীর ও গাজার মধ্যে সম্ভাব্য পুনর্মিলনের জন্য ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটিয়ে গাজায় নিজেদের প্রশাসন গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। খবর বিবিসির।
রবিবার হামাস এ ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, তারা পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ফাত্তাহ’র সঙ্গে এই বিষটি নিয়ে আরো আলোচনা করবে।
হামাসের প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে মিশরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কায়রোতে একটি বৈঠক করেছেন।
ফিলিস্তিনের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল হামাস। নির্বাচনে হামাসের এই বিজয়ে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নিয়ে ফাতাহর সঙ্গে গোষ্ঠীটির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
এর জেরে ২০০৭ সালে গাজায় দুপক্ষের মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধ হয়। তারপর থেকে ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় ওই ছোট ভূখণ্ডটি হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
২০১১ সাল থেকে ফিলিস্তিনের এ দুটি রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে বিরোধ মিটমাট করার অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়। গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে ঐক্যমতের সরকার প্রতিষ্ঠা করার এসব উদ্যোগের শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
২০১৪ সালে হামাস ও ফাতাহ ঐক্যমতের সরকারের বিষয়ে একমত হয়, কিন্তু সমঝোতা সত্বেও, গাজায় হামাসের ছায়া সরকার প্রশাসন চালিয়ে যায়।
রবিবারের বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা তাদের ছায়া সরকারের অবসান ঘটিয়েছে এবং গাজায় ঐকমত্যের সরকারের প্রশাসনকে তারা অনুমোদ করবে। পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এবং ফাতাহর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তারা।
হামাসের এই অবস্থানকে সতর্কভাবে স্বাগত জানিয়েছেন ফাতাহর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাহামুদ আলাউল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘এটা যদি হামাসের বিবৃতি হয়, তাহলে এটি একটি ভালো লক্ষণ। পুনর্মিলন কার্যকর করার জন্য ফাতাহ আন্দোলনের আমরা প্রস্তুত আছি।