হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি বিস্তৃত হয়েছে তার সবুজ ঐশ্বর্যে, ফলে-ফসলে, নদী-মাতৃকতায়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি এক সমৃদ্ধ ক্ষেত্র। এ মাটির সোনালি আভা যুগ যুগ ধরে দৃষ্টি কেড়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বেনিয়া দখলদারদের। একইভাবে শোষণ নির্যাতন, দুঃশাসন মোকাবিলা করতেও অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন সূর্য সন্তানেরা। এ ভূপ্রকৃতি তার নিজস্ব মমতা দিয়ে যুগে যুগে গড়ে তুলেছে বহু বিপ্লবী বীর। তারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে নিবেদন করেছেন মাটি ও মানুষের জন্য। ইতিহাসের এ সূর্য সন্তানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের ভিতর দিয়ে বাঙালির প্রতিটি চেতনার গভীরে রোপণ করেন স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার বীজ। পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্রতম হলেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ভূখণ্ডের প্রতিটি কণাকে তিনি দিতে চেয়েছেন স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি ও অগণিত স্বপ্নমালা।
জন্ম তার ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক কৃষক পরিবারে। সমাজের মধ্য থেকে উঠে আসা বাঙালির রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মাটি আর ফসলের সঙ্গে বাঁধা জীবন জীবিকাকেই তিনি সারাজীবন দেখেছেন বাঙালির শক্তি হিসেবে। জন্মভূমির মাটির কৃষকদের হৃদয়ে এখনো সমান উজ্জ্বলতায় আলো ছড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।
এ বাংলায় সব যুগেই কৃষকদের বিদ্রোহ করতে হয়েছে শাসকের বিরুদ্ধে। কখনো সামন্ত জমিদার, কখনো ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক, কখনো দখলদার। ব্রিটিশ শাসক বিদায় নেওয়ার পর এ বাংলায় পাকিস্তানি শোষকদের টানা অত্যাচার, দুঃশাসন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে ষাটের দশকে একে একে রচিত হয় নতুন নতুন সংগ্রামের পথ। বঙ্গবন্ধু তার নিজস্ব বিবেচনাবোধ আর বিচক্ষণতা দিয়ে আবিষ্কার করেন- বাঙালির প্রাকৃতিক ও কৃষিজ সম্পদকে কীভাবে ধ্বংস করছে পাকিস্তানিরা। ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন দেশে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেখানে দেওয়া বক্তৃতায় আমরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শোষণের একটি পরিপূর্ণ চিত্র পাই। তিনি বলেন, “সবুজ বিপ্লবের কথা আমরা বলছি। যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের যে অবস্থা, সত্য কথা বলতে কি- বাংলার মাটি, এ উর্বর জমি বার বার দেশ বিদেশ থেকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে ও শোষকদের টেনে এনেছে এ বাংলার মাটিতে। এত উর্বর এত সোনার দেশ যদি বাংলাদেশ না হতো, তবে এতকাল পরাধীন থাকতে হতো না। যেখানে মধুরা থাকে সেখানে মক্ষীরা উড়ে আসে। সোনার বাংলার নাম আজকের সোনার বাংলা নয়- বহুদিনের সোনার বাংলা। বাংলার মাটির মতো মাটি দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায় না, বাংলার সম্পদের মতো সম্পদ দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সে জন্য শোষকদের দল বার বার বাংলার ওপর আঘাত করেছে এবং তাদের শক্তি দিয়ে বাংলাকে দখল করে রেখেছে। দু’শত বছরের ইংরেজ শাসনে আমরা কি দেখতে পেয়েছি? যারা ইতিহাসের ছাত্র আছে তারা জানেন যে, যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাদেশকে দখল করে নেয় তখন কলকাতাকে ভারতবর্ষের রাজধানী করা হয়েছিল বাংলাকে শোষণ করার জন্য। যখন আপনারা মিউজিয়ামে যান বা লাইব্রেরিতে পড়েন তখন দেখতে পারেন- এ বাংলার সম্পদ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বোম্বে শহর, মাদ্রাজ, কলকাতা শহর, সে ইতিহাসের দিন চলে গেছে। ইংরেজ দুইশত বৎসর শাসন করেছে, বাংলার সম্পদ বাংলা থেকে চলে গেছে- বাংলার পাট, বাংলার চা, বাংলার চামড়া, বাংলার অন্যান্য সম্পদ লুট হয়েছে, সেই ইতিহাস গেল-তারপর দুর্ভাগ্যের ইতিহাস এলো ২৪ বৎসর আগে।”
বঙ্গবন্ধু সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সব অংশেই কৃষিনির্ভর জীবনব্যবস্থাকে মূল প্লাটফর্ম বা প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে দেখেছেন। যে কারণে, গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের আগে ৬৬-র ছয় দফা বা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার যে বিস্ফোরণ তার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিল এ দেশের প্রতিটি কৃষক পরিবার। একের পর এক সংগ্রামের পথ পেরিয়ে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭১ এর ৭ মার্চ। রেসকোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক ভাষণ। যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু বারবার উল্লেখ করেছেন এ দেশের কৃষক মজুর মেহনতি মানুষের কথা। কারণ, চিন্তা ও দর্শনের মধ্যে চিরকালই তিনি লালন করেছেন বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু গ্রামের কৃষক, ক্ষেতমজুর মেহনতি মানুষ। যুগ যুগ ধরে যে হাতে কৃষক লাঙলের মুঠি ধরেন, সেই হাত এবার অমিত শক্তি নিয়ে চেপে ধরল রাইফেল-বন্দুক। বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছেন স্বাধীনতার, তাই জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার শক্তি নিয়ে প্রস্তুত বাংলার কৃষক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে উদিত হলো বাংলার স্বাধীন লাল সূর্য। সদ্য স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম মনোযোগ ছিল কৃষির প্রতি। তার সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলার মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়া। নানামুখী তৎপরতায় সে যাত্রায় সফল হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন ভূখণ্ডের কৃষির গতিপ্রকৃতি পাল্টে দেওয়ার নানামুখী স্বপ্ন দেখেন। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে পরিবারপ্রতি জমির মালিকানা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে ১০০ বিঘায় নামিয়ে আনেন এবং ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মুওকুফ করেন। তিনি মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাত থেকে ভূমির মালিকানা বের করে এনে ভূমিহীন ক্ষুদ্র কৃষকদের মাঝে তা বিতরণের উদ্যোগ নেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সমবায় চিন্তার পর এ বাংলায় সমবায় ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় রূপরেখা রচনা করেন বঙ্গবন্ধু। তার আদেশেই ব্যবস্থা রাখা হয় সমবায়ী পদ্ধতিতে কৃষকদের মধ্যে জমি বন্দোবস্তের। এক্ষেত্রে কৃষকদের সমবায় সমিতিগুলোর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনার ভিত্তিতে ঋণ ও অন্যান্য ইনপুটস সহায়তার কথাও বলা হয়। ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-১৩৫ এ বঙ্গবন্ধুর কৃষি সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়, আর তা হলো : এতে নদী কিংবা সাগরগর্ভে জেগে ওঠা চর জমির মালিকানা রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে দরিদ্রতর কৃষকদের মধ্যে বণ্টনের ব্যবস্থার বিধান। মহাজন ও ভূমিদস্যুদের হাত থেকে গরিব কৃষকদের রক্ষাই উদ্দেশ্য ছিল তার। সে কারণে হাট বাজারে ইজারা প্রথার বিলোপ করেন। এক্ষেত্রে তিনি কৃষিজপণ্যের ক্ষুদে বিক্রেতাদের শুল্ক থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন চিন্তা, বিশ্ববিক্ষণ, সমাজ চিন্তা ও দারিদ্র্য মুক্তি ছিল একই সূত্রে গাঁথা। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংষের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া তার বক্তৃতায় আমরা দেখি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার অদম্য তাড়না। তিনি এদেশের এমন কিছু সংকট ও সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন তা শুধু তখনকার প্রেক্ষাপট নয়, আজও দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, “ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির ফলে খাদ্যের দাম গরিব দেশগুলোর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে ধনী ও উন্নত দেশগুলি হচ্ছে খাদ্যের মূল রপ্তানিকারক। কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণের অসম্ভব দাম বাড়ার ফলে গরিব দেশগুলোর খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টাও তেমন সফল হতে পারছে না। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন পরিকল্পনার ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাদের নিজেদের সম্পদ কাজে লাগানোর শক্তিও হ্রাস পেয়েছে। ইতিমধ্যেই যেসব দেশ ব্যাপক বেকার সমস্যায় ভুগছে তারা তাদের অতি নগণ্য উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোও কেটে ছেঁটে কলেবর ছোট করতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ হারে আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছিল। বিশ্বের সকল জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অগ্রসর না হলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এমন বিরাট আকার ধারণ করবে, ইতিহাসে যার তুলনা পাওয়া যাবে না। অবশ্য বর্তমানে অসংখ্য মানুষের পুঞ্জীভূত দুঃখ-দুর্দশার পাশাপাশি মুষ্টিমেয় মানুষ যে অভূতপূর্ব বৈষয়িক সমৃদ্ধি ও সুখ-সুবিধা ভোগ করছে তার তুলনা ইতিহাসে বিরল।
এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে আমাদের মধ্যে মানবিক ঐক্যবোধ-ভ্রাতৃত্ববোধের পুনর্জাগরণ। পারস্পরিক নির্ভরশীলতার স্বীকৃতিই কেবল বর্তমান সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধান ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান দুর্যোগ কাটাতে হলে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচষ্টা দরকার। বর্তমানের মতো এত বড়ো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা জাতিসংঘ অতীতে কখনো করেনি। এ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে একটা ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য যুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা। এ ব্যবস্থায় থাকবে নিজের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর প্রতিটি দেশের সার্বভৌম অধিকারের নিশ্চয়তা। এ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, বাস্তব কাঠামো, যার ভিত্তি হবে স্থিতিশীল ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিশ্বের সকল দেশের সাধারণ স্বার্থের স্বীকৃতি। এখন এমন একটি সময় যখন আমাদের দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করতে হবে যে, আমাদের একটা আন্তর্জাতিক দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ব হলো- বিশ্বের প্রতিটি মানুষ যাতে তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও মর্যাদার উপযোগী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ভোগ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণায় এ অধিকারের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব এমনভাবে পালন করতে হবে যাতে প্রতিটি মানুষ নিজের ও পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় জীবনধারণের মান প্রতিষ্ঠা অর্জনের নিশ্চয়তা লাভ করে।”
বঙ্গবন্ধুর জীবনের এ বিশাল ক্ষেত্রগুলো নিয়ে এখনো বিস্তৃত গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তার উন্নয়ন চিন্তা এ বাংলার জন্য সারাটি জীবন দিয়ে যাবে নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধু জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাত দিয়েছিলেন ১৯৭৫-এ এসে। যার বাস্তবায়ন এদেশের মানুষের দেখার সুযোগ হয়নি। যাকে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কৃষিব্যবস্থার সংস্কার। আর সংস্কারের প্রধান শক্তি হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল সমবায়ের। কৃষি ও সমবায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই অভিযাত্রার স্মৃতি এখনো রয়েছে অনেক কৃষকের কাছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন উৎপাদন বৃদ্ধি, জনসংখ্যা রোধ, দুর্নীতি রোধ এবং জাতীয় ঐক্য গঠনে সমাজকে সচেতন করে তুলতে পারলেই সফল হবে দ্বিতীয় বিপ্লব। আর এ বাংলার কৃষিজীবী জনগোষ্ঠীকে তার যথাযথ মর্যাদা দিতে পারলেই এ জাতি এগিয়ে যাবে কয়েক ধাপ। কিন্তু এ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বহু আগেই যে দুষ্টচক্র বাসা বেঁধেছিল বঙ্গবন্ধু জীবনের বিভিন্ন পর্যায়েই তা উপলব্ধি করেছেন। বঙ্গবন্ধু বারবার অকপট উচ্চারণে যে শত্রুর বিলোপ ঘটাতে চেয়েছেন। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট থেমে যায় একটি দীর্ঘ স্বপ্নের যাত্রাপথ। বঙ্গবন্ধু ওই স্বার্থান্ধ, উচ্চাভিলাষীর একাংশের হাতে সপরিবারে শাহাদাতবরণ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু চার দশকেরও বেশি আগে এ বাংলাদেশের ৫ শতাংশ ধনিক, ঘুষখোর দুর্নীতিবাজের যে শ্রেণির কথা বলেছিলেন, আজও সেই শ্রেণির বিলোপ ঘটানোর অপরিহার্যতা রয়েছে। আজও দিবালোকের মতো সত্য কৃষি আর কৃষক নিয়ে তার সব উচ্চারণ।