ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চড়া দামে আমন ধানের চারা কিনতে বিপাকে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৩৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চলতি মৌসুমে বন্যা পরবর্তী চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। কিন্তু আমন ধানের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে চাহিদা তুলনায় অপ্রতুল চারার দেখা মিললেও চড়াদামে কিনতে গিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন ধানের মৌসুমে ১৫হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু আকর্ষিক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ১৯হাজার ২০০ কৃষকের ৪হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষেতের ক্ষতি সাধন হয়। সম্প্রতি বন্যার পানি কমে যাওয়ায় কৃষক নতুন করে চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়।

পানি নেমে যাওয়ার পর সেই জমিতে নতুন করে আমন ধানের চাষ শুরু করে কৃষক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক নতুন করে ধান চাষ করবে। ইতিমধ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে ধানের চাষ শুরু করেছে কৃষক। আরো প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। কিন্তু বন্যা পরবর্তি চাষাবাদে আমন ধানের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে ধানের চারা উঠলেও কৃষকের চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। আর এ কারনে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে আমন ধানের চারা। স্বাভাবিক বাজার মূল্যের দ্বি-গুনের বেশী মূল্য হওয়ায় কৃষক বিপাকে পড়েছেন।

চালাপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারনে ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। যারা বাজারে চারা আনছেন তারা স্বাভাবিক বাজারের দ্বি-গুন বা তারও বেশি দাম হাকছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চারা কিনতে হচ্ছে। কৃষক খোকন মিয়া বলেন, ৩৩ ধানের চারা স্বাভাবিক বাজারে ৪০০-৫০০টাকা পন বিক্রি করা হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১হাজার বা ১২০০টাকায়।

কৃষক খোকন মিয়া আরো বলেন, বন্যায় ধান ক্ষেতে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ক্ষতি সাধন হয়েছে। ক্ষতি পুশিয়ে নিতে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু শুরুতে চারা সংকট ও চড়াদামে চারা কিনতে গিয়ে হোচট খেতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার কারনে কিছুটা চারা সংকট রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পূর্ব পরামর্শ দেওয়ায় বন্যার পরবর্তিতে আমন ধানের চারা পাওয়া যাচ্ছে। তবে অধিক মুনাফার জন্য অনেকে চারা ধুনট উপজেলার বাহিরে বিক্রি করছেন। এজন্য বর্তমানে আমন ধানের চারা সংকট ও চারা’র মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চড়া দামে আমন ধানের চারা কিনতে বিপাকে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৭:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চলতি মৌসুমে বন্যা পরবর্তী চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। কিন্তু আমন ধানের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে চাহিদা তুলনায় অপ্রতুল চারার দেখা মিললেও চড়াদামে কিনতে গিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন ধানের মৌসুমে ১৫হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরমধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। কিন্তু আকর্ষিক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ১৯হাজার ২০০ কৃষকের ৪হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষেতের ক্ষতি সাধন হয়। সম্প্রতি বন্যার পানি কমে যাওয়ায় কৃষক নতুন করে চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়।

পানি নেমে যাওয়ার পর সেই জমিতে নতুন করে আমন ধানের চাষ শুরু করে কৃষক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক নতুন করে ধান চাষ করবে। ইতিমধ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে ধানের চাষ শুরু করেছে কৃষক। আরো প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষক। কিন্তু বন্যা পরবর্তি চাষাবাদে আমন ধানের চারা সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে ধানের চারা উঠলেও কৃষকের চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। আর এ কারনে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে আমন ধানের চারা। স্বাভাবিক বাজার মূল্যের দ্বি-গুনের বেশী মূল্য হওয়ায় কৃষক বিপাকে পড়েছেন।

চালাপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যার কারনে ধানের চারার সংকট দেখা দিয়েছে। যারা বাজারে চারা আনছেন তারা স্বাভাবিক বাজারের দ্বি-গুন বা তারও বেশি দাম হাকছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে চারা কিনতে হচ্ছে। কৃষক খোকন মিয়া বলেন, ৩৩ ধানের চারা স্বাভাবিক বাজারে ৪০০-৫০০টাকা পন বিক্রি করা হয়। কিন্তু বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১হাজার বা ১২০০টাকায়।

কৃষক খোকন মিয়া আরো বলেন, বন্যায় ধান ক্ষেতে পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ক্ষতি সাধন হয়েছে। ক্ষতি পুশিয়ে নিতে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু শুরুতে চারা সংকট ও চড়াদামে চারা কিনতে গিয়ে হোচট খেতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার কারনে কিছুটা চারা সংকট রয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পূর্ব পরামর্শ দেওয়ায় বন্যার পরবর্তিতে আমন ধানের চারা পাওয়া যাচ্ছে। তবে অধিক মুনাফার জন্য অনেকে চারা ধুনট উপজেলার বাহিরে বিক্রি করছেন। এজন্য বর্তমানে আমন ধানের চারা সংকট ও চারা’র মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে।