হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকার আমন চারা বিতরণসহ তাদের পুনর্বাসনের ঘোষণা দিলেও দিনাজপুরের কৃষকরা সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরে এবার আমনের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চারা না পেয়ে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে এখন বিরাজ করছে হাহাকার অবস্থা। এই অবস্থায় কেউ চড়া দামে চারা কিনে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পুনরায় আমন রোপণের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ নগদ অর্থের আশায় রোপণ করা জমির আমন চারা বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বন্যার পরপরই সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও আমন চারা বিতরণের ঘোষণা দেয়। কিন্তু বন্যার পর দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সরকারি এই সুযোগ তেমন পায়নি। সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ জেলার আমনক্ষেতের মাত্র দশমিক ৬৩ শতাংশ জমিতে রোপণের জন্য চারা ও বীজ বিতরণ করেছে সরকারি কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, দিনাজপুর জেলায় মোট ১৩৩ হেক্টর জমিতে রোপণের জন্য ১ হাজার কৃষকের মধ্যে আমন চারা এবং ২৯ হেক্টর জমির জন্য ২২০ জন কৃষকের মধ্যে আমন বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোপণ জমির প্রতি বিঘা আমন চারা বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমির রোপণকৃত চারা তুলে ৫ বিঘা থেকে ৮ বিঘা জমিতে আমন রোপণ করা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার একটি জমির রোপণকৃত চারা তুলে তা সমবণ্টনের মাধ্যমে তার অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে রোপণ করছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার সদরপুর গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম জানান, বন্যায় তার ২ বিঘা জমির রোপণকৃত আমন চারা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক চেষ্টা করে আমন চারা সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি। সরকারিভাবেও কোনো চারা পাননি।
অবশ্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, অধিকাংশ জমিতে আমন রোপণ করেছেন কৃষকরা। যেহেতু আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমন চারা রোপণের সময় আছে। সেহেতু এই সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট জমিতে আমন রোপণ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।