হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালির বারেক ল্যাংটার মাজার থেকে যে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদেরকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা পুলিশের। নিহতদের মধ্যে আমেনা বেগম ৩০ বছর ধরে মাজারে খাদেম হিসেবে কাজ করতেন। অন্যজন তাইজুন খাতুন। তিনি মাজারের ভক্ত।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, ‘ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ধর্ষণে ব্যবহৃত (জন্ম নিরোধক) আলামত হিসেবে মিলেছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
আমেনা বেগমের বাড়ি গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া এলাকায়।
আমেনার ছেলে মো. জাবেদ জানান, তার বাবা খালেক মিজী মারা যাওয়ার পর থেকেই তার মা মাজারে খাদেম হিসাবে ছিলেন। গতকালও আমার সাথে কথা হয়েছিল মোবাইলে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই।
তাইজুনের ছেলে কফিল উদ্দিন জানান, ‘আমাদের বাড়ি সদর উপজেলার বকচর গ্রামে। তবে মা দুই ছেলের সাথে ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় থাকতেন। মনের শান্তি পূরণের জন্য তিনি প্রায়ই এখানে আসতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মাজারে যান।’
মাজারের আশপাশে বাস করা লোকজন জানান, মাজারকে ঘিরে চারপাশে রীতিমতো মাদকের আড্ডা বসতো। এর মধ্যে উঠতি বয়সের লোকজনদের সংখ্যাই বেশি ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে গান বাজনার জলসা হতো।
মাজারের খাদেম মো. মাসুদ খান জানান, ‘রাতে খাদেম আমেনা বেগম এবং ভক্ত তাইজুন খাতুন মাজারের ভেতর থাকেন। সকাল এসে মাজারে ভেতরে তাদের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই।’ মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, জমিজমা, টাকা উত্তোলন এবং মাজারের নিয়ন্ত্রণকে এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।