ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা নির্যাতন: জাতিসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আহ্বান সুইডেন-ব্রিটেনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল পরিস্থিতির কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছে সুইডেন ও ব্রিটেন।

নিউইয়র্ক সময় সোমবার দেশ দুটি এ অনুরোধ জানায়। খবর রয়টার্সের।

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতা চলছে।

ওই দিন ভোররাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।

এতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। এর মধ্যে ১২ পুলিশ ও সেনাসদস্য, বাকিরা আরসা সদস্য।

এরপর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে সেনা অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনারা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে এবং ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ অভিযানে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সোয়া তিন লাখ উদ্বাস্তু।

সোমবার রাখাইনের পরিস্থিতিকে জাতিগত নিধনের আদর্শ উদাহরণ আখ্যা দেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচআরসি) প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসেইন।

রাখাইনে ‘ভয়ানক সামরিক অভিযান’ বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এরপর রাখাইনের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতিশীল হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার অনুরোধ করে সুইডেন ও ব্রিটেন।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে নিরাপত্তা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে এক বিরল চিঠি লেখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।

ওই চিঠিতে তিনি রাখাইনের সহিংস পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে উদ্বেগ জানান।

এরপর সর্বশেষ গত শুক্রবার মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে মিয়ানমারের সহিংসতার বিষয়ে অবহিত করেন। তবে এ বৈঠকে চীন ও রাশিয়া কোনো কূটনীতিককে পাঠায়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রোহিঙ্গা নির্যাতন: জাতিসংঘের রুদ্ধদ্বার বৈঠক আহ্বান সুইডেন-ব্রিটেনের

আপডেট টাইম : ১১:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অবনতিশীল পরিস্থিতির কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছে সুইডেন ও ব্রিটেন।

নিউইয়র্ক সময় সোমবার দেশ দুটি এ অনুরোধ জানায়। খবর রয়টার্সের।

কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে সহিংসতা চলছে।

ওই দিন ভোররাতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।

এতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়। এর মধ্যে ১২ পুলিশ ও সেনাসদস্য, বাকিরা আরসা সদস্য।

এরপর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে সেনা অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সেনারা তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে এবং ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ অভিযানে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সোয়া তিন লাখ উদ্বাস্তু।

সোমবার রাখাইনের পরিস্থিতিকে জাতিগত নিধনের আদর্শ উদাহরণ আখ্যা দেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচআরসি) প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসেইন।

রাখাইনে ‘ভয়ানক সামরিক অভিযান’ বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এরপর রাখাইনের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতিশীল হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার অনুরোধ করে সুইডেন ও ব্রিটেন।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে নিরাপত্তা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে এক বিরল চিঠি লেখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।

ওই চিঠিতে তিনি রাখাইনের সহিংস পরিস্থিতি মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে উদ্বেগ জানান।

এরপর সর্বশেষ গত শুক্রবার মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে মিয়ানমারের সহিংসতার বিষয়ে অবহিত করেন। তবে এ বৈঠকে চীন ও রাশিয়া কোনো কূটনীতিককে পাঠায়নি।