হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে সারিবদ্ধ গাছ। সেই গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে গাঢ় সবুজের পেঁপে। বাণিজ্যিকভাবে এই পেঁপে চাষ করেন রইচ উদ্দিন আখা। তার বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বড় জামালপুর গ্রামে। আখা মিয়ার স্বপ্ন ছিল, পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। কিছুটা হলেও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। চলতি বর্ষার টানা বৃষ্টিতে পেঁপে ক্ষেত সবুজ থেকে হলুদ বিবর্ণ হয়ে গেছে। অধিক পানি জমাটের কারণে নষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে আখা মিয়ার পেঁপে ক্ষেত। পেঁপেচাষি রইচ উদ্দিন আখা মিয়া বলেন, আর্থিকভাবে লাভের আশায় আমি এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। এসময় স্থানীয় এক এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পেঁপে চারা রোপণ করি। এ জমিতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। যার উৎপাদন ফসলের মূল্য হতো প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিন্ত চলমান বর্ষায় পেঁপে গাছগুলোতে মড়ক ধরেছে। বর্তমানে ওই ক্ষেত থেকে ১০ হাজার টাকা পেঁপেও বিক্রি সম্ভব নয়। ফলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
শুধু আখা মিয়াই ক্ষতিগ্রস্ত নন, উপজেলার আলমঙ্গীর মণ্ডল, জহির মিয়া, আনছার আলীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পেঁপেচাষির ক্ষতি হয়েছে। এনিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এবারে পেঁপে চাষ করে পথে বসেছেন আরও অনেক কৃষক। সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সাঈদ মো. ফজলে এলাহী জানান, এ এলাকায় পেঁপে খুবই জনপ্রিয়। শুধুমাত্র ফল নয় সবজি হিসেবেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পেঁপেতে প্রচুর ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি আছে। পরিচর্যা করলে সব ধরনের মাটিতেই পেঁপে চাষ করা যায়। সাধারণত এক বছরের মাথায় পেঁপে গাছে ফল ধরে। একটি গাছে বছরে ৫০ থেকে ৬০টি ফল ধরে, সেই হিসেবে এক বিঘা জমিতে বছরে প্রায় ৮ হাজার ১০ হাজার পেঁপে ধরে। খরচ বিঘাপ্রতি প্রায় ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় প্রায় ৩০০ চারা লাগানো যায়। প্রতি গাছে প্রায় ২ মণ পেঁপে ধরে। যা খুবই লাভজনক বটে। তবে আখা মিয়ার পেঁপে ক্ষেত নষ্টের পথে তা আমার জানা নেই। সরজমিন গিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়।
সংবাদ শিরোনাম
পেঁপে চাষির স্বপ্ন ভঙ্গ
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১২:৩৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
- ২৩৪ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ