ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর, প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হেফাজত আমির ‘ভারতের কোনো ফাঁদে পা দেবেন না গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে মদনে স্মরণ সভা মানব কল্যাণ ও সমাজ সেবায় অবদান রাখায় ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন নাসির উদ্দিন ভুইঁয়া কুমিল্লায় ট্রেনের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৬ ভোটার তালিকা হালনাগাদের পরই নির্বাচন: ধর্ম উপদেষ্টা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলল ভারত আড়াই বছর কোনোভাবেই বিয়ে করতে পারবেন না উর্বশী! কলমাকান্দায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু মৃগীরোগের লক্ষণগুলো জেনে রাখা ভালো

বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ২৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৮ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

রবিবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের এই দিন ধার্য করেন।

আজ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ভিকটিম বাদিনী আদালতে হাজির ছিলেন। কিন্তু নিয়মিত বিচারক সফিউল আজম ছুটিতে থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। শুনানির সময় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ও গত ৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দুটি ধার্য তারিখে বাদিনী আসলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করেনি ট্রাইব্যুনাল।

গত ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ২৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।

গত ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত নয়টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর, প্রতিক্রিয়া জানালো যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৮ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

রবিবার ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের এই দিন ধার্য করেন।

আজ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ভিকটিম বাদিনী আদালতে হাজির ছিলেন। কিন্তু নিয়মিত বিচারক সফিউল আজম ছুটিতে থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়। শুনানির সময় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২৪ জুলাই ও গত ৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দুটি ধার্য তারিখে বাদিনী আসলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করেনি ট্রাইব্যুনাল।

গত ১৩ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ২৪ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন।

গত ৭ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিব, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতা করার অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, আসামিদের মধ্যে সাফাত ও নাঈম দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তারা ওই দুই ধর্ষিতা ছাত্রীর বন্ধু। গত ২৮ মার্চ ঘটনার দিন আসামি সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের যান ওই দুই ছাত্রী। এরপর ওইদিন তাদের রাত নয়টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ একাধিকবার তাদের ধর্ষণ করেন। আসামি সাফাত গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখান। ধর্ষিতরা ভয়ে এবং লোকলজ্জার কারণে এবং মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা মামলার সিদ্ধান্ত নেন।