ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশবাসীকে টাইগারদের অন্যরকম ঈদ উপহার সাকিব নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়া-বধ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৭
  • ৫৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুন্যে ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারাল স্বাগতিক বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে এই প্রথমবার অসিদের হারানোয় নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দশম জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। জয়ের ফলে টেস্ট জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের দল। বল হাতে ১০ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৮৯ রান করার সুবাদে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য আট উইকেট আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৫৬ রান- এমন সমীকরনে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দুই দল। নিজেদের লক্ষ্য পূরণে দিনের শুরু থেকেই সর্তক অস্ট্রেলিয়া। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজালেও মিস ফিল্ডিং অব্যাহত ছিলো বাংলাদেশের। এর মাঝে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
ওয়ার্নার ৭৫ রান নিয়ে শুরু করে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। উপমহাদেশে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার প্রথম সেঞ্চুরি ছিল ২০১৪ সালে আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সেঞ্চুরি তুলে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিলেন ওয়ার্নার। সতীর্থের সেঞ্চুরিতে মুখে চওড়া হাসি স্মিথের। কারন ২ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে ফেলায়, ম্যাচ জয়ের পথ অনেকাংশেই পরিস্কার ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। এমন সময় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ওয়ার্নারকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও, নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ওয়ার্নার। ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১২ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ে স্মিথের সাথে গড়ে উঠা ১৩০ রানের জুটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উপমহাদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে ওয়ার্নার ও স্মিথের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
ওয়ার্নারকে ফেরানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরার সাহস পেয়ে যান সাকিব। তাই স্মিথকেও বিদায়ের টিকিট ধরিয়ে দেন সাকিব। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩টি চারে ৯৯ বলে ৩৭ রান করেন স্মিথ।
সাকিবের আক্রমন দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এবার পিটার হ্যান্সকম্বকে সতীর্থ সৌম্য সরকারের সহায়তায় থামান তাইজুল। স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সৌম্য। ১৫ রান করেন হ্যান্ডসকম্ব।
হ্যান্ডসকম্বের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন সাকিব। এবার তার শিকার অসি উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। মাত্র ৪ রান করতে সমর্থ হন ওয়েড। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশকে আরও একটি সাফল্য এনে দেন তাইজুল। ইনিংসের ৫৫তম ওভারে সাকিবের সঙ্গে পরামর্শ করেই অ্যাস্টন আগারকে শিকার করেন তাইজুল। ফলে ৩ উইকেটে ১৫৮ থেকে ৭ উইকেটে ১৯৫ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থায় জয় থেকে ৩ উইকেট দূরে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে জয় থেকে ৩ উইকেট দূরে থাকলেও, নিশ্চিন্ত ছিলো না বাংলাদেশ। কারণ অস্ট্রেলিয়ার শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ডেলিভারিতেই ম্যাক্সওয়েল ‘বাঁধা’ দূর করে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। একই সঙ্গে এই ইনিংসেও ৫ উইকেট পূর্ণ হয় তার। প্রথম ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন সাকিব।
১৯৯ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর, লড়াই করার মানসিকতা দেখান দুই টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান প্যাট কামিন্স ও নাথান লিঁও। তবে উইকেট নেয়ার লক্ষ্য থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি বাংলাদেশের সাকিব-তাইজুল-মিরাজ। অবশেষে মিরাজ সেই লক্ষ্য পূরণ করেন। লিঁও’কে ১২ রানে থামিয়ে দেন মিরাজ। অবশ্য লিঁওকে ফেরাতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন সৌম্য। দ্বিতীয়বারের মত এই ইনিংসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন সৌম্য।
এরপর বাংলাদেশের বোলারদের উপর কিছুটা চড়াও হয়েছিলেন কামিন্স। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এতে কিছুটা হলে শংকিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। অবশেষে ৭১তম ওভারে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসে বাংলাদেশের। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ইনজুরড জশ হ্যাজেলউডকে লেগ বিফোর করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তাইজুল। ২৪৪ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজেলউড শুন্য রানে ফিরলেও, ৫৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যান কামিন্স। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ৮৫ রানে ৫ উইকেট, তাইজুল ৬০ রানে ৩ উইকেট ও মিরাজ ৮০ রানে ২ উইকেট নেন।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৬০ (সাকিব ৮৪, তামিম ৭১, আগার- ৩/৪৬)।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ২১৭ (রেনশ ৪৫, আগার ৪১*, সাকিব ৫/৬৮)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ২২১(তামিম ৭৮, মুশফিক ৪১; লিঁও ৬/৮২।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ( আগের দিন ১০৯/২) :
ডেভিড ওয়ার্নার এলবিডব্লু ব সাকিব ১১২
ম্যাট রেনশ এলবিডব্লু ব মিরাজ ৫
উসমান খাজা ক তাইজুল ব সাকিব ১
স্টিভেন স্মিথ ক মুশফিকুর ব সাকিব ৩৭
পিটার হ্যান্ডসকম্ব ক সৌম্য ব তাইজুল ১৫
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বোল্ড ব সাকিব ১৪
ম্যাথু ওয়েড এলবিডব্লু ব সাকিব ৪
অ্যাস্টন আগার ক অ্যান্ড ব তাইজুল ২
প্যাট কামিন্স অপরাজিত ৩৩
নাথান লিঁও ক সৌম্য ব মিরাজ ১২
জশ হ্যাজেলউড এলবিডব্লিউ তাইজুল ০
অতিরিক্ত (বা-৭, লে বা-২) ৯
মোট (অলআউট, ৭০.৫ ওভার) ২৪৪
উইকেট পতন : ১/২৭ (রেনশ), ২/২৮ (খাজা), ৩/১৫৮ (ওয়ার্নার), ৪/১৭১ (স্মিথ), ৫/১৮৭ (হ্যান্ডসকম্ব), ৬/১৯২ (ওয়েড), ৭/১৯৫ (আগার), ৮/১৯৯ (ম্যাক্সওয়েল), ৯/২২৮ (লিঁও), ১০/২৪৪ (হ্যাজেলউড)।

বাংলাদেশ বোলিং :
মিরাজ : ১৯-৩-৮০-২,
নাসির : ৩-২-২-০,
সাকিব : ২৮-৭-৮৫-৫,
তাইজুল : ১৯.৫-২-৬০-৩,
মুস্তাফিজুর ১-০-৮-০।

ফল : বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা : সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশবাসীকে টাইগারদের অন্যরকম ঈদ উপহার সাকিব নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়া-বধ

আপডেট টাইম : ১১:৩২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুন্যে ঢাকা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারাল স্বাগতিক বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে এই প্রথমবার অসিদের হারানোয় নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দশম জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। জয়ের ফলে টেস্ট জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের দল। বল হাতে ১০ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৮৯ রান করার সুবাদে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য আট উইকেট আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার ১৫৬ রান- এমন সমীকরনে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে দুই দল। নিজেদের লক্ষ্য পূরণে দিনের শুরু থেকেই সর্তক অস্ট্রেলিয়া। আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজালেও মিস ফিল্ডিং অব্যাহত ছিলো বাংলাদেশের। এর মাঝে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
ওয়ার্নার ৭৫ রান নিয়ে শুরু করে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। উপমহাদেশে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত সেঞ্চুরি করলেন তিনি। তার প্রথম সেঞ্চুরি ছিল ২০১৪ সালে আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
সেঞ্চুরি তুলে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিলেন ওয়ার্নার। সতীর্থের সেঞ্চুরিতে মুখে চওড়া হাসি স্মিথের। কারন ২ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে ফেলায়, ম্যাচ জয়ের পথ অনেকাংশেই পরিস্কার ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। এমন সময় বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ওয়ার্নারকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও, নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ওয়ার্নার। ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১২ রান করেন ওয়ার্নার। তার বিদায়ে স্মিথের সাথে গড়ে উঠা ১৩০ রানের জুটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উপমহাদেশের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে ওয়ার্নার ও স্মিথের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
ওয়ার্নারকে ফেরানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরার সাহস পেয়ে যান সাকিব। তাই স্মিথকেও বিদায়ের টিকিট ধরিয়ে দেন সাকিব। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩টি চারে ৯৯ বলে ৩৭ রান করেন স্মিথ।
সাকিবের আক্রমন দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এবার পিটার হ্যান্সকম্বকে সতীর্থ সৌম্য সরকারের সহায়তায় থামান তাইজুল। স্লিপে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সৌম্য। ১৫ রান করেন হ্যান্ডসকম্ব।
হ্যান্ডসকম্বের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন সাকিব। এবার তার শিকার অসি উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। মাত্র ৪ রান করতে সমর্থ হন ওয়েড। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশকে আরও একটি সাফল্য এনে দেন তাইজুল। ইনিংসের ৫৫তম ওভারে সাকিবের সঙ্গে পরামর্শ করেই অ্যাস্টন আগারকে শিকার করেন তাইজুল। ফলে ৩ উইকেটে ১৫৮ থেকে ৭ উইকেটে ১৯৫ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থায় জয় থেকে ৩ উইকেট দূরে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে জয় থেকে ৩ উইকেট দূরে থাকলেও, নিশ্চিন্ত ছিলো না বাংলাদেশ। কারণ অস্ট্রেলিয়ার শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে ছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ডেলিভারিতেই ম্যাক্সওয়েল ‘বাঁধা’ দূর করে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। একই সঙ্গে এই ইনিংসেও ৫ উইকেট পূর্ণ হয় তার। প্রথম ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন সাকিব।
১৯৯ রানে অষ্টম উইকেট হারানোর পর, লড়াই করার মানসিকতা দেখান দুই টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান প্যাট কামিন্স ও নাথান লিঁও। তবে উইকেট নেয়ার লক্ষ্য থেকে একচুলও বিচ্যুত হননি বাংলাদেশের সাকিব-তাইজুল-মিরাজ। অবশেষে মিরাজ সেই লক্ষ্য পূরণ করেন। লিঁও’কে ১২ রানে থামিয়ে দেন মিরাজ। অবশ্য লিঁওকে ফেরাতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন সৌম্য। দ্বিতীয়বারের মত এই ইনিংসে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন সৌম্য।
এরপর বাংলাদেশের বোলারদের উপর কিছুটা চড়াও হয়েছিলেন কামিন্স। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অস্ট্রেলিয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এতে কিছুটা হলে শংকিত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। অবশেষে ৭১তম ওভারে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসে বাংলাদেশের। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ইনজুরড জশ হ্যাজেলউডকে লেগ বিফোর করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তাইজুল। ২৪৪ রানেই অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজেলউড শুন্য রানে ফিরলেও, ৫৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যান কামিন্স। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব ৮৫ রানে ৫ উইকেট, তাইজুল ৬০ রানে ৩ উইকেট ও মিরাজ ৮০ রানে ২ উইকেট নেন।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৬০ (সাকিব ৮৪, তামিম ৭১, আগার- ৩/৪৬)।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস : ২১৭ (রেনশ ৪৫, আগার ৪১*, সাকিব ৫/৬৮)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : ২২১(তামিম ৭৮, মুশফিক ৪১; লিঁও ৬/৮২।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ( আগের দিন ১০৯/২) :
ডেভিড ওয়ার্নার এলবিডব্লু ব সাকিব ১১২
ম্যাট রেনশ এলবিডব্লু ব মিরাজ ৫
উসমান খাজা ক তাইজুল ব সাকিব ১
স্টিভেন স্মিথ ক মুশফিকুর ব সাকিব ৩৭
পিটার হ্যান্ডসকম্ব ক সৌম্য ব তাইজুল ১৫
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বোল্ড ব সাকিব ১৪
ম্যাথু ওয়েড এলবিডব্লু ব সাকিব ৪
অ্যাস্টন আগার ক অ্যান্ড ব তাইজুল ২
প্যাট কামিন্স অপরাজিত ৩৩
নাথান লিঁও ক সৌম্য ব মিরাজ ১২
জশ হ্যাজেলউড এলবিডব্লিউ তাইজুল ০
অতিরিক্ত (বা-৭, লে বা-২) ৯
মোট (অলআউট, ৭০.৫ ওভার) ২৪৪
উইকেট পতন : ১/২৭ (রেনশ), ২/২৮ (খাজা), ৩/১৫৮ (ওয়ার্নার), ৪/১৭১ (স্মিথ), ৫/১৮৭ (হ্যান্ডসকম্ব), ৬/১৯২ (ওয়েড), ৭/১৯৫ (আগার), ৮/১৯৯ (ম্যাক্সওয়েল), ৯/২২৮ (লিঁও), ১০/২৪৪ (হ্যাজেলউড)।

বাংলাদেশ বোলিং :
মিরাজ : ১৯-৩-৮০-২,
নাসির : ৩-২-২-০,
সাকিব : ২৮-৭-৮৫-৫,
তাইজুল : ১৯.৫-২-৬০-৩,
মুস্তাফিজুর ১-০-৮-০।

ফল : বাংলাদেশ ২০ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা : সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)।